এখন শুধু ভণ্ডদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০১৭, ২০:২০ | আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭, ২০:৪৪

আশরাফুল আলম খোকন

কোনো ভিখারির কাছ থেকে আমি আর্থিক সাহায্য নিতে রাজি নই। পঙ্গুদের সঙ্গে মল্লযুদ্ধেও যেতে চাই না । কোন চরিত্রহীনের কাছ থেকে জ্ঞান নিতে হবে ভাবাই ঠিক না । কোনো অন্ধ আমাকে পথ দেখাক তা কোনোমতেই কাম্য নয় । আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ভরা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি কাউকে ‘লুটেরা চক্র’ বলে তখন তা কারো কাছেই বিশ্বাস যোগ্য মনে হবে না । 

অনলাইন নিউজ পোর্টালের কারণে দেশে এখন কলামিস্টের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। কোনোমতে ৮০০/১০০০ শব্দের কিছু লিখলেই কোথাও না কোথাও পাবলিশ করা যায় । শুধু ছাপা পত্রিকার ওই যুগে হয়ত এই লেখাগুলো ডাস্টবিনে জায়গা পেত। সাংবাদিকতার মত পবিত্র পেশায় খিস্তি খেউরের জায়গা ছিল না । অনলাইন পোর্টালের যুগে এইসব এখন পাবলিশ হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে নিউজ পোর্টালগুলোই স্পনসর করে এই লেখাগুলোর পাঠক খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। এমনি কিছু লেখকের সংখ্যা এখন বেড়ে গেছে। যারা নিজেরাই নিজস্ব জায়গায় ব্যর্থ।

যেমন, হয়ত শিক্ষক দেশে আছেন কিন্তু একাডেমিক কোনো অর্জন নেই । পত্রিকার সম্পাদক, কিন্তু পত্রিকা তো রুগ্ন শিল্প, হয়ত কারো দয়াদক্ষিণা নিয়ে চালাচ্ছেন। ব্যবসায়ী, কিন্তু ঋণখেলাপি। এইরকমের লোকজনের নসিহত যদি নিতে হয় তাহলে তো এই জাতির কপালে দুঃখ আছে।

খুব দূরে না যাই, পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক যখন দুর্নীতির অপবাদ এই দেশের জনগণের কপালে এঁকে নিয়েছিল তখন বিশ্বব্যাংকের পক্ষে দালালি করতে করতে ওদের মুখে ফেনা উঠে গিয়েছিল। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতিবাজ প্রমাণের আগেই তারা পুরা জাতিকে বিশ্বের কাছে চোর বানাতে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার চ্যালেঞ্জের কাছে যখন আন্তর্জাতিক আদালতেও বিশ্বব্যাংক হেরে যায় তখন কিন্তু ওরা শুধু ম্যা ম্যা করেছে। মনে হয়েছে যেন ওনারা নিজেরা হেরে গেছেন। এই রকম অসংখ্য উদাহরণ আছে।

সাংবাদিকতা পেশায় থাকার কারণেই অনেকেরই জীবনের অতীত এবং বর্তমানের ভালো এবং কলঙ্কময় অধিকাংশ অধ্যায়গুলো জানি। তাদের অপকর্ম সম্পর্কে লিখতে গেলে একেকটা ছোটখাটো উপন্যাস হয়ে যাবে। শিগগিরই একেকজনের অপকর্মগুলো নিয়ে নাম ধরে ধরে ধারাবাহিকভাবে লিখব। এখন শুধু ভণ্ডদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

আপাতত শুধু এইটুকু বলি, যারা তারেক রহমানের মতো আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজকে ‘জাতীয় হিরো’ বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত ছিল তারা যদি বঙ্গবন্ধু কন্যাকে লুটেরা চক্র বা দুর্নীতিবাজ তকমা দেয় তখন বিষয়গুলো জাতির কাছে হাস্যকরই হবে।

লেখক: প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব