দশ বছরে তামিমের সঙ্গী ১৪ ওপেনার, অতঃপর...

মিনহাজ ইসলাম লিও
| আপডেট : ০৬ জুন ২০১৭, ২২:৫১ | প্রকাশিত : ০৬ জুন ২০১৭, ২২:৪১

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলের সব ব্যাটিং দায়িত্ব যেন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। কিন্তু এভাবে আর কত দিন দলের সব বিপদে একা বুক চিতিয়ে লড়ে যাবেন? ব্যাটিং স্বর্গ হোক বা পুরোপুরি স্পোর্টিং উইকেট কিংবা পেস বান্ধব পিচ, দলের হাল যেন তাকেই ধরতে হয় এবং তিনি ধরেনও।

বাংলাদেশ দলের ওপেনিং পেয়ার গুলোর দিকে একবার তাকিয়ে আসা যাক। নতুন প্রজন্ম অর্থাৎ তামিমের সমসাময়িক বাংলাদেশ দল। ২০০৭ সাল থেকে এখন এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত প্রায় ১১ বছরে তামিম ইকবালের ওপেনিং সঙ্গীদের তালিকাটা দেখে নিই- শাহরিয়ার নাফিস, জাভেদ ওমর, মেহরাব হোসেন অপি, ইমরুল কায়েস, জুনায়েদ সিদ্দিকি, মুশফিকুর রহিম, নাঈম ইসলাম, মোহাম্মদ আশরাফুল, নাজিমুদ্দিন, এনামুল হক বিজয়, শামসুর রহমান শুভ, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস। মোটমাট চৌদ্দ জন ওপেনার। এত নাম দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই এরকম হয়তো আরও অনেকে আসবেন-যাবেন। কিন্তু তামিম ইকবাল আগেও ছিলেন, এখনো আছেন, ভবিষ্যতেও আরও অনেকটা সময় থাকবেন। কারণ তিনি যে 'তামিম ইকবাল'।

তামিমের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ এখন পর্যন্ত ওপেন করেছেন আরেক বাঁ-হাতি ইমরুল কায়েস, মোট ৪৭ ইনিংসে। এখন অবশ্য তামিমের পার্টনার কাগজে-কলমে সৌম্য সরকার। বাকি যারা ছিলেন তাদের মধ্যে এখনো আশা বেঁচে আছে শুধু আনামুল হক বিজয় আর লিটন দাশের। গুঞ্জন আছে, প্রথমজন কোচের পছন্দের তালিকায় নেই, আর দ্বিতীয়জন সহজ ভাষায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ নিতে ব্যর্থ যথেষ্ট সুযোগ পাওয়ার পরও।

সৌম্যর ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অর্থাৎ যখন তিনি ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ডাক পান তখনই নিজের সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু তিনি অতিমাত্রায় অধারাবাহিক। এক-দুই ম্যাচ ভালো খেলার পর আট-দশ ম্যাচ যেন তার ভেতর ভূত চেপে বসে! তিনি যেন খেলা ভুলে যান, উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। তারপর হঠাৎ হয়তো একদিন ঝলকে ওঠেন। তাও ওই এক-দুই ম্যাচ। এখন পর্যন্ত এ রকমই হয়ে আসছে। অধারাবাহিকতার প্রতিলিপি। কোনো কোনো ম্যাচে তাকে ওপেনার তো দূর, একদম আনকোরা ব্যাটসম্যান লাগে, তার ফুটওয়ার্কে যে এখনো সমস্যা রয়ে গেছে তা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

ইমরুল কায়েস আসেন-যান, আবার আসেন। দলে তার অবস্থান অনেকটা এমনই এখন। আরও খোলাখুলিভাবে বললে, বর্তমান সময়ে সৌম্যর বদলি যেন তিনি। সৌম্য সরকার কয়েক ম্যাচ খারাপ খেললে ইমরুল কায়েসকে নামিয়ে দেওয়া হয়- এমনটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইমরুল সেভাবে কিছু করে না দেখাতে পারলে আবার সৌম্যকে মূল একাদশে সুযোগ করে দেওয়া হয়!

সাদামাটা ইমরুলের প্রতি আবার টাইগার ফ্যানদের ফিডব্যাক হলো তিনি নাকি মোটেও সাহসী নন! চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলের বিপক্ষেই ম্যাচ শেষে তাকে নিয়ে ঘোরতর অভিযোগ- তিনি ব্যাট হাতে ক্রিজে দাঁড়ালেই হাত-পা কাঁপাকাঁপি শুরু করে দেন!

দলের ব্যাটিং হাল তাই তামিমকেই ধরতে হয়। ভালো অনেকেই খেলেন, কেউ নিয়মিত আর কেউ অনিয়মিত। এমন না হলে কেউই দলে জায়গা পেতেন না। কিন্তু দায়িত্ববোধ যে দলের সবার মধ্যে সেভাবে হয়ে ওঠেনি সেটা দলের অধিকতর ভালো বলে পরিচিত খেলোয়াড়দের সঙ্গে তামিমের তুলনা করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। নিজের স্বভাবসিদ্ধ হার্ডহিটিং মারকাট ব্যাটিং সংযত করে তিনি যে অন্যদের মতোন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন না, এটাই টাইগার ভক্তদের জন্য এই মুহূর্তে অন্যতম একটা ভরসা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে মুস্তাফিজের খেলা নিয়ে যা জানাল বিসিবি

যে কারণে বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে নেই সাকিব-মুস্তাফিজ

আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলে যুক্ত হলেন বাংলাদেশি আম্পায়ার মোর্শেদ

বড় চমক রেখে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা

টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে হারমানপ্রীত-স্মৃতি মানদানারা

তীব্র গরমে ফ্লাডলাইটে ফুটবল ম্যাচের সিদ্ধান্ত

জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সুনীল নারিন

 হাথুরুর সঙ্গে নির্বাচকদের বৈঠক সম্পন্ন, আলোচনা হলো যা নিয়ে

মুস্তাফিজের আইপিএল ছাড়া নিয়ে যা বললেন চেন্নাই কোচ

ঢাকায় পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :