ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে উচ্ছেদ অভিযান
রমজানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বেলা এগারোটা থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান চালায় সওজ। অভিযানে প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, শিমরাইল মোড়ের ফুটপাত দখল করে রাজনৈতিক কতিপয় নেতা ও মার্কেট মালিক, প্রভাবশালীরা রাস্তার কিছু অংশে ও ফুটপাতে অবৈধভাবে দোকানপাট বসিয়ে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। এতে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১টায় সওজ কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এ সময় ফলের দোকান, মোবাইলের এক্সেসরিজ, ভাসমান খাবার হোটেলসহ বিভিন্ন দোকানপাট সওজের রেকার ও ভেকু দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশের অংশ হকারদের কবল থেকে উদ্ধার করে লেনটি এখন যানচলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। এতে পথচারীদের চলাচলে বাধা মুক্ত হয়েছে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পূর্বে বহুবার সওজ কর্তৃপক্ষ ওই স্থানে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু সকালে উচ্ছেদ হলে বিকেলেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে দেখা গেছে। এ অভিযানের ফল কতক্ষণ টিকে থাকবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শে¦র অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও অজ্ঞাত কারণে উত্তর পার্শ্বের অংশে কোন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়নি। উচ্ছেদের সময় সওজের নারায়ণগঞ্জের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান সুমেল ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল মাহমুদসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল মাহমুদ জানায়, প্রভাবশালী একটি চাঁদাবাজ চক্র জনসাধারণরে চলাচলের ফুটপাট ও মহাসড়কের কিছু অংশ দখল করে দোকানপাট বসিয়ে ভাড়া দিয়ে চাঁদা আদায় করত। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় আমরা এ উচ্ছেদ অভিযান চালাতে বাধ্য হই।
(ঢাকাটাইমস/০৭জুন/প্রতিনিধি/ইএস)