সংযোগ নেই, তবু বিদ্যুৎ বিল ৩৮ হাজার টাকা

প্রকাশ | ০৯ জুন ২০১৭, ১৮:২২ | আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭, ১৮:২৬

রেজাউল করিম, টাঙ্গাইল

বিদ্যুতের সংযোগ নেই, খুঁটির সঙ্গে তারের দেখা মেলেনি, কখনও সংযোগ ছিল না, বিদ্যুতের গ্রাহকও নন, তবুও মোস্তফা কামাল নামের এক ব্যক্তির নামে ৩৮ হাজার ৭১ টাকার বিল পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের তক্তারচালা পাটজাগ বাংলাবাজারে। ভুক্তভোগীর নাম মোস্তফা কামাল। তার ‘আলেয়া ফার্মেসি’র নামে এই বিলটি তৈরি করেছেন স্থানীয় বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। সংযোগ না থাকলেও ওই বিলে ০২২৮০৮ মিটার নম্বরের বর্তমানে ব্যবহৃত ইউনিট ৭৮২০ দেখানো হয়েছে।

পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমার দোকানে বিদ্যুতের কোনো সংযোগ নেই, কখনো ছিল না। তিন বছর আগে আমি সখীপুর বিদ্যুৎ কার্যালয়ে বিদ্যুতের সংযোগ চেয়ে ওই কার্যালয়ে আবেদন করেছিলাম। সংযোগ খরচের জন্য এ এলাকায় নিয়োজিত লাইনম্যান ফারুক হোসেন আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকাও নিয়েছিল। সংযোগ না পেয়ে গত এক বছর আগে ওই কার্যালয়ে ঘুরাফেরা বন্ধ করে দিয়েছি ও ১০ হাজার টাকার মায়াও ছেড়েছি। হঠাৎ এ মাসে আমার নামে ৩৮ হাজার ৭১ টাকার বিল পেয়ে আশ্চর্য হলাম।’
মোস্তফা বলেন, ‘আমি মোমবাতি জ্বালিয়ে দোকান চালাই, আর সংযোগ ছাড়াই ৩৮ হাজার ৭১ টাকার বিদ্যুৎ বিল! এ কোন দেশে বাস করছি ?’।

ওই এলাকায় বিদ্যুতের বিল বিতরণকারী মাহবুব বলেন, প্রকৃতপক্ষেই মোস্তফার ওষুধের দোকানে বিদ্যুতের কোনো সংযোগ নেই। তবু অফিস থেকে পাঠানো বকেয়া বিলের কাগজটি মোস্তফার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। 

মিটার রিডার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে বিদ্যুতের বিল বিতরণ ও মিটার দেখে ইউনিট সংগ্রহকারীদের গাফলতির কারণে হয়তো ওই ব্যক্তি সংযোগ পায়নি। যে কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে।’

জানতে চাইলে সখীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকাটাইমস/০৯জুন/আরকে/ডব্লিউবি