মে মাসে কাজে ডিএমপির সেরা যাঁরা

প্রকাশ | ১০ জুন ২০১৭, ১৮:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে মে মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে নগদ অর্থ পুরস্কার তুলে দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

মে মাসে ঢাকা মহানগর পুলিশের শ্রেষ্ঠ বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী জোনের জেষ্ঠ্য সহকারী কমিশনার এবিএম জাকির হোসেন, এছাড়াও শ্রেষ্ঠ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল, দারুসসালাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফারুকুল আলম, কদমতলী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. সাইফুল ইসলাম, উপপরিদর্শক পদে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন মো. সেলিম খান, চকবাজার থানা ও প্রদীপ কুমার কুন্ডু, কদমতলী থানা, সহকারী উপপরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন, মতিঝিল থানা ও মো. ইলিয়াস ব্যাপারী, মিরপুর থানা।

শ্রেষ্ঠ অস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. আবদুল কুদ্দুস, শ্রেষ্ঠ বিস্ফোরক উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কোতওয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মো. মওদুদ হাওলাদার, শ্রেষ্ঠ মাদকদ্রব্য উদ্ধারকারী অফিসার কোতওয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার সহকারী মতিঝিল থানার সহকারী উপপরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবির) শ্রেষ্ঠ বিভাগ হয়েছে ডিবি-পূর্ব বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন পল্লবী জোনাল টিমের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহাদাত হোসেন সুমা, চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রফিকুল আলম, অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম ডেমরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাঈনুল ইসলাম, বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সামছুল আরেফিন, মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম ডেমরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাঈনুল ইসলাম, অজ্ঞান ও মলম পার্টি গ্রেপ্তারে শ্রেষ্ঠ টিম ওয়ারী জোনাল টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুকিত সরকার।

ট্রাফিক পুলিশের শ্রেষ্ঠ বিভাগ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী কমিশনার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন লালবাগ ট্রাফিক জোনের জেষ্ঠ্য সহকারী সহকারী কমিশনার হারুন-অর-রশিদ, শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম লালবাগ ট্রাফিক জোন, শ্রেষ্ঠ টিএসআই মো. কামরুল হাসান সবুজবাগ ট্রাফিক জোন।

বিশেষ পুরস্কারে পুরস্কৃতরা হলেন- বিভিন্ন স্থানে সফলভাবে জঙ্গিবিরোধী অভিযান করায় যৌথভাবে স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ ও কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ, খুন মামলার রহস্য উদঘাটনে সম্মিলিতভাবে ডেমরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাঈনুল ইসলাম, লালবাগের জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজির আহম্মেদ খাঁন, কদমতলী থানার উপপরিদর্শক আবুল হাসনাত খন্দকার, উপপরিদর্শক প্রদীপ কুমার কুন্ডু, কাফরুল থানার উপপরিদর্শক মো. জাহির হোসেন, মামলার রহস্য উদঘাটনে সম্মিলিতভাবে ভাষানটেক থানার উপপরিদর্শক অভিজিৎ কুমার রায়, পল্লবী থানার উপপরিদর্শক প্রবীর রঞ্জন ধর, বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক আবদুল কাদের, ভাটারা  থানার উপপরিদর্শক হাসান মাসুদ, শেরেবাংলানগর থানার উপপরিদর্শক সুধাংশু সরকার, ছিনতাইকারী গ্রেপ্তারে সম্মিলিতভাবে সবুজবাগ ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মনির হোসেন, ওয়ারী জোসেন সার্জেন্ট তানজিলা খাতুন ও কোতওয়ালী থানার উপপরিদর্শক অখিল চন্দ্র সরকার। ভুয়া পুলিশ গ্রেপ্তারে যৌথভাবে মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মো. শরিফুল ইসলাম ও মিরপুর ট্রাফিক জোনের পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মো. আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার।

ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেপ্তারে সম্মিলিতভাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের কোতওয়ালী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী, ওয়ারী জোনাল টিমের জেষ্ঠ্য সহকারী কমিশনার মুকিত সরকার, কোতওয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. পারভেজ ইসলাম, ভুয়া সিআইডি গ্রেপ্তারে দারুসসালাম জোনের সার্জেন্ট মুহাম্মদ সোহরাব হোসাইন, প্রতারক গ্রেপ্তারে মতিঝিল ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আনন্দ চন্দ্র রায়, বিকাশে টাকা আত্মসাৎকারী আসামী গ্রেপ্তারে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের জেষ্ঠ্য সহকারী কমিশনার মো. আজহারুল ইসলাম মুকুল।

ভিকটিম উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারে সম্মিলিতভাবে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার রাহুল পাটওয়ারী, গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম, জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শাহাদাত হোসেন সুমা, মাদক উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের জেষ্ঠ্য সহকারী কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম এবং কোতওয়ালী থানার উপপরিদর্শক রিপন কুমার বিশ্বাস। পাচারকারী চক্রের সদস্য গ্রেপ্তারে লালবাগ জোনাল টিমের জেষ্ঠ্য সহকারী কমিশনার নাজমুস সাকিব খান। চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তারে শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) আবুল কালাম আজাদ, চোরাই মালামাল উদ্ধারে যৌথভাবে রমনা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলী হোসেন,ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক ইমাম মেহেদী। প্লাস্টিকের দানা উদ্ধারে তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মইনউদ্দিন।

মাদক উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারে যৌথভাবে ডেমরা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. নবির হোসেন ও  রমনা মডেল থানার কনস্টেবল মো. মাঈনুল ইসলাম। চোরাইগাড়ি উদ্ধারে যৌথভাবে মতিঝিল ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট চন্দন কুমার সিংহ, ডেমরা জোনের সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম মৃধা। নকল মালামাল উদ্ধার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সাজা প্রদানে ডিবির ধানমন্ডি জোনাল টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুর রহমান। ফেসবুকে কটূক্তি করা আসামি গ্রেপ্তারে কোতওয়ালী জোনের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. বদরুল হাসান।

এছাড়াও বিশেষ পুরস্কারে পুরস্কৃতরা হলেন- রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক, পেট্রোল কোতওয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার  সালমান হাসান, দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সাহা, কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  মো. শাহীন ফকির ও নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

(ঢাকাটাইস/১০জুন/এএ/জেবি)