খুলনায় একমাসে নারী নির্যাতনের ১০৩ ঘটনা

প্রকাশ | ১১ জুন ২০১৭, ১৭:২৯

খুলনা ব্যুরো প্রধান, ঢাকাটাইমস

খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা এবং সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভা  রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিন উল আহসান এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় আইনশৃঙ্খলা প্রতিবেদনে জানানো হয়, খুলনা মহানগরীর আটটি থানায় গত মে-১৭ মাসে রাহাজানি একটি, চুরি ১০টি, খুন তিনটি, অস্ত্র আইনে চারটি, ধর্ষণ চারটি, নারী ও শিশু নির্যাতন ৩৫টি, নারী ও শিশু পাচার দুটি, মাদকদ্রব্য ১৭২টি এবং অন্যান্য ৫৬টিসহ মোট ২৮৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত এপ্রিল-১৭ মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৯৬টি।

অপরদিকে জেলার নয়টি থানায় গত মে-১৭ মাসে চুরি ছয়টি, খুন একটি, দাঙ্গা দুটি, অস্ত্রআইনে পাঁচটি, দ্রুত বিচার একটি, ধর্ষণ দুটি, নারী ও শিশু নির্যাতন ৬২টি, নারী ও শিশু পাচার ছয়টি ও মাদকদ্রব্য ১১১টি এবং অন্যান্য আইনে ৯৯টিসহ মোট ২৯৫টি মামলা দায়ের হয়েছে।  গত এপ্রিল-১৭ মাসে এ সংখ্যা ছিল ২৩৫টি।

জেলায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ও  সন্ত্রাস ও নাশকতা নিয়ন্ত্রণে সভাপতি বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যাপক প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি বলেন, সন্ত্রাস তথা জঙ্গিবাদের সাথে  মাদকাসক্তির সম্পর্ক ওৎপ্রোতভাবে জড়িত তাই মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স। প্রয়োজনে সরকারের নীতি বাস্তবায়নে বিভিন্ন এলাকায় মাদক কেনাবেচা এবং ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা টানিয়ে তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে। এ জাতীয় অপরাধ থেকে শিশুদের রক্ষার্থে তিনি বিভিন্ন স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের মাঝে সাংস্কৃতিক চর্চার পরিবেশ তৈরিতে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্রতি আহ্বান জানান।

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নগরীতে যানজট বৃদ্ধি পাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ কমাতে বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সভায় পুলিশ বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নগরীর আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। ঈদের ছুটিতে গৃহকর্তার অনুপস্থিতির সুযোগে চুরি, ডাকাতি রোধে নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করতে হবে। বাসস্টান্ডগুলোতে এসময় দুষ্কৃতিকারী ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্মে অনেকেই বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন, এ বিষয়ে পুলিশ বিভাগের সতর্ক অবস্থান থাকলেও  প্রত্যেকের সজাগ ও সচেতন থাকা জরুরি। গল্লামারীসহ নগরীর ছোট ছোট রাস্তাগুলোতে ট্রাক প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশন যৌথ ব্যবস্থা নেবে। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে মোটর সাইকেলে তিনজন আরোহী নিষিদ্ধ, তাছাড়া হেলমেট ছাড়া চলাচল অবৈধ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধমে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। খুলনার বিভিন্ন উপজেলা ও জেলায় ঈদের জামাত উপলক্ষে কমিটি গঠন বিষয়ে মতবিরোধে অনেকক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, বিধায় এগুলোকে যথারীতি মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে।

সভায় খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

(ঢাকাটাইমস/১১জুন/এসএএইচ/জেবি)