ইবির ডায়েরি থেকে জিয়ার নাম বাদ

ইবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ জুন ২০১৭, ২০:৪৭

দীর্ঘ সাত বছর পর প্রকাশিত হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পকেট ডায়েরি-২০১৭। প্রকাশিত পকেট ডায়েরি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম।

১৯৭৯ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকাশনায় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম লেখা হতো। কিন্তু এবারের ডায়েরিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম দেয়া হয়নি। ডায়েরিতে প্রতিষ্ঠাতার নাম হিসেবে জিয়ার নাম লিখা হবে কিনা এ নিয়ে নানা বিতর্ক হয়। ফলে ২০০৯ সালের পর থেকে দীর্ঘ সাত বছর ডায়েরি প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি নেতাকর্মীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস প্রশাসক ও পকেট ডায়েরি প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক এবং বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন, ডায়েরি দীর্ঘ দিন ধরে কেন ডায়েরি প্রকাশ হয়নি- কারণ আমি জানি না। বর্তমান ভিসি স্যারের মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজে গতি ফিরে আনতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় ইবির ডায়েরি প্রকাশ করা হয়েছে।

রবিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কার্যালয়ে প্রেস প্রশাসক অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় এক সভায় এ কথা জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা, রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ, তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আতাউল হক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, দেশের অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়েরিও প্রকাশ করা হয়েছে। নানা জটিলতার কারণে ডায়েরি প্রকাশ করতে বিলম্ব হলেও আমরা আগামী বছর থেকে যথাসময়ে ডায়েরি প্রকাশ করব।

এদিকে ইবি জিয়া পরিষদ সভাপতি প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দিতে ডায়েরি থেকে প্রতিষ্ঠাতার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ইতোপূর্বে যেভাবে ডায়েরি প্রকাশ করা হয়েছে আবার ঠিক একইভাবে ডায়েরি প্রকাশের দাবি জানিাচ্ছি।

(ঢাকাটাইমস/১১জুন/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :