পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু: ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাইবান্ধা
 | প্রকাশিত : ১১ জুন ২০১৭, ২১:২৪

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পুলিশ হেফাজতে রিপন চন্দ্র দাস নামে এক আসামির মৃত্যুর ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানার চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। নিহত রিপন চন্দ্র দাসের বাবা বাবলু চন্দ্র দাস রবিবার দুপুরে পলাশবাড়ী আমলি আদালতে এ মামলা করেন।

আসামিরা হলেন- সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. রাজু আহম্মেদ, কনস্টেবল শাহানুর আলম, মোস্তাফিজুর রহমান, নার্গিস বেগম এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মমতাজ উদ্দিন, সুরিশ চন্দ্র দাস, তার মেয়ে চম্পা রানী, আলম মিয়া, অমল চন্দ্র দাস ও রতন চন্দ্র দাস।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সামিউল হক সামি জানান, আদালতের বিচারক মো. জয়নাল আবেদীন মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়- সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের বাবলু চন্দ্র দাসের ছেলে রিপনের সঙ্গে প্রতিবেশী সুরেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে চম্পা রানীর ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। ২৯ মে তারা দুজন বাড়ি থেকে পালিয়ে বগুড়ার কাহালুতে ছেলের এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠে। পরে সেখানে তাদের বিয়ে হয়। এ ঘটনায় চম্পার বাবা সুরিশ চন্দ্র দাস অপহরণের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। পরে সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই রাজু আহমেদের নেতৃত্বে স্থানীয় ইউপি সদস্য মমতাজ আলীসহ সঙ্গীয় পুলিশ ১ জুন বগুড়ার কাহালুর থেকে চম্পাকে উদ্ধার ও রিপনকে গ্রেপ্তার করেন। ওই দিনই তাদের মাইক্রোবাসে করে কাহালু থেকে সুন্দরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হচ্ছিল। পথে ইউপি সদস্য মমতাজ উদ্দিনের পরোক্ষ সহযোগিতায় রিপনকে মাইক্রোবাসে পুলিশ মারপিট করে হত্যা করে। পরে পলাশবাড়ী উপজেলা সদর সংলগ্ন গোপিনাথপুর জুনদহ এলাকায় মরদেহ রাস্তায় ফেলে দিয়ে দুর্ঘটনা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রিপন বারবার পুলিশের কাছে প্রসাব করার জন্য কাকুতি-মিনতি করছিল। একপর্যায়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার জুনদহ এলাকায় মহাসড়কের পাশে মাইক্রোবাস থামিয়ে প্রসাব করার সুযোগ দিলে রিপন চন্দ্র পালাতে গিয়ে একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। পরে তাকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পলাশবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়।

ওই ঘটনার পর সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. রাজু আহম্মেদ, কনস্টেবল শাহানুর আলম, মোস্তাফিজার রহমান ও নার্গিস বেগমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। এছাড়া ঘটনাটি তদন্ত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্ত টিম এখন পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের রিপোর্ট দাখিল করেনি।

(ঢাকাটাইমস/১১জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :