মাদারীপুরে চারটি ব্রিজের কাজ অসমাপ্ত, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

প্রকাশ | ১৩ জুন ২০১৭, ১৭:৪১

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

দীর্ঘদিনেও মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নে চারটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি’র প্রকৌশলীর বিচার ও দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবিতে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জনগণ। এছাড়া বিকল্প রাস্তা না করায় ভাঙাচূড়া রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় মারাত্মক আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন স্থানীয় আলী নেওয়াজ ফকির। এর বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচখোলার চরকালিকাপুর গ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলজিইজি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে এলজিইডির অর্থায়নে টুকু মোল্লা নামের এক ব্যক্তির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ‘আঙ্গুলকাটা-পাচঁখোলা-আড়িয়াল খাঁ ঘাট’ সড়কের চারটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করে। দীর্ঘদিনেও ব্রিজগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে স্থানীয় জনগণ। এছাড়া ব্রিজের বিকল্প ব্যবস্থা না করায় একাধিকবার দুর্ঘটনার শিকার হয় চলাচলকারী লোকজন। এলজিইজির উপজেলা প্রকৌশলীসহ কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

গত তিন দিন আগে স্থানীয় আলী নেওয়াজ ফকির নামে একজন মোটরসাইকেল চালক বিকল্প সড়ক না থাকায় যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে দুই চোখে গুরুতর আহত হন। তাকে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে স্বত্বাধিকারী টুকু মোল্লা ও সদর উপজেলা প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

এ ব্যাপারে পাচঁখোলা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আক্তার হাওলাদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমি বারবার সদর উপজেলা প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাসকে নিম্নমানের কাজের কথা বলেছি। এতে কোনো কাজ হয়নি। বরং ঠিকাদার টুকু মোল্লা আমাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। এই ব্রিজগুলো নির্মাণের জন্যে বিকল্প রাস্তার তৈরির জন্যে টাকা বরাদ্দ থাকলেও কর্মকর্তা আর ঠিকাদারের যোগসাজসে সব আত্মসাৎ করেছেন। আমি এই দোষীদের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি। সেই সাথে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাই।’

তবে উপজেলা প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি জেলা অফিসের নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে এবিষয় কথা বলতে বলেন। আর ঠিকাদার টুকু মোল্লা দাবি করেছেন, সবই সঠিক নিয়মে কাজ হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/প্রতিনিধি/জেবি)