নারায়ণগঞ্জে চাচিকে হত্যার দায়ে ভাতিজার ফাঁসি

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০১৭, ১৭:৩২ | আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭, ১৭:৫০

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার হরিহরপাড়া এলাকায় চাচিকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ফাহিম আহমেদকে ফাঁসি দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ  কামরুন নাহার এ রায় দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার হরিহরপাড়া এলাকার ফাহিম আহমেদ ছাব্বির তার মেয়ে বান্ধবীর  সাথে দেখা করার জন্য সহপাঠী ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির ছাত্র সৈকত ও ইফতির কাছ থেকে টাকা ধার নেয়। বন্ধুরা টাকা ফেরত চাইলে ওই টাকা ফেরত দেয়ার জন্য ফাহিম তার চাচি সাহেদা বেগমের কাছে ৫ হাজার টাকা চায়। চাচি কারণ জিজ্ঞাসা করে বলে তোমার মাকে বলে দেব। এই কথা বলায় চাচিকে হত্যার পরিকল্পনা করে ফাহিম। পরে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে ফাহিম আহমেদ বাসার কলিংবেল টিপে বাসায় প্রবেশ করে। ফাহিম ঘরে ঢুকে চাচির কাছে এক গ্লাস পানি চায়। চাচি নাস্তাসহ তাকে পানি দেয়। এ সময় সাহেদা বেগমের স্বামী কবির হোসেন ও মেয়ে নাসিমা বাসায় ছিল না। আর এই সুযোগে ফাহিম চাচির মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধরে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার সাথে থাকা চাকু দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটে, বুকে ও ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে জখম করে।  পরবর্তীতে মামলার বাদীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সীমা বেগম বাড়িতে প্রবেশ করলে আসামি ফাহিম দরজা খুলে দিয়ে বলে বড় চাচি আপনাকে ডাকছে। পরে সীমা বেগম ঘরে প্রবেশ করে দেখে সাহেদা বেগম খাটের উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খানপুর তিনশ শয্যা হাসপাতালে, পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর আগে শাহেদা বেগম স্বামী, ছেলে, মেয়ের সামনে সব ঘটনা বলে যায়। যা মোবাইল ফোনে রের্কড আছে। ঘটনার তিন দিন পর (৩ জানুয়ারি ২০১৫)  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ব্যাপারে নিহতের স্বামী কবির হোসেন ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। পুলিশ ফাহিমকে গ্রেপ্তার করলে ফাহিম হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি জাসমিন আহমেদ জানান, এই মামলায় মোট দশ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আদালত সকল সাক্ষ্য-প্রমাণ ও আসামির জবানবন্দি পর্যালোচনা করে ফাঁসির রায় দেয়।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/প্রতিনিধি/এলএ)