মাশরাফিদের ভরসা দিচ্ছে রেকর্ড

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০১৭, ১০:২৬ | আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭, ১২:৫০

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথমবারের মতো আজ সেমিতে মুখোমুখি ভারত-বাংলাদেশ। অতীতের সব হিসেব দেখলে এগিয়ে ভারতই। কিন্তু সেইসব পরিসংখ্যান বদলে দেওয়ার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের। ঠিক যেমনটি হয়েছিল ২০০৭ বিশ্বকাপে। যেটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম বড় আন্তর্জাতিক জয়। পোর্ট অফ স্পেনে বাংলাদেশের কাছে হেরে যেতে হয়েছিল ভারতকে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিতে আবারও প্রতিপক্ষ দুই দল। এক নজরে দেখে নিই আইসিসির টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ-ভারতের অতীত ফলাফল।

২০০৭ বিশ্বকাপ: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী

বাংলাদেশের জন্য এটাই ছিল প্রথম সব থেকে বড় আন্তর্জাতিক জয়। সাফল্যের শুরু প্রথমে বল হাতেই। পোর্ট অফ স্পেনে ভারতকে ১৯১ রানে অল আউট করে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের বোলাররা। সর্বোচ্চ রান ছিল সৌরভ গাঙ্গুলীর ৬৬। মাশরাফি মুর্তজার ৪, আবদুর রাজ্জাকের ৩ ও মোহাম্মদ রফিকের ৩ উইকেটের দাপটেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ব্যাটিং। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৩ ওভারেই জয়ের রান তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।

২০০৯ টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ২৫ রানে জয়ী

নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রীজে সেদিন মুখোমুখি হয়েছিল দুই প্রতিবেশী দেশ। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৮০ রান তুলেছিল ভারত। গৌতম গাম্ভীর একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। যুবরাজ সিংহের ব্যাট থেকে এসেছিল ৪১ রান।  জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৫৫ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। জুনায়েদ সিদ্দিকির ৪১ রানের ইনিংস ছাড়া আর কেউই লড়াই করতে পারেনি।  সেই ম্যাচে ভারতের হয়ে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন প্রজ্ঞ্যান ওঝা।

২০১১ বিশ্বকাপ: ভারত ৮৭ রানে জয়ী

২০১১ এর বিশ্বকাপে ওপেনিংয়ে নেমে ১৭৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন বীরেন্দ্র শেওয়াগ। চার নম্বরে নেমে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি। তাতেই ভারতের রান পৌঁছায় ৪ উইকেটে ৩৭০ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। ভারতের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুনাফ প্যাটেল।

২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ৮ উইকেটে জয়ী ভারত

প্রথমে ব্যাট করেছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান তুলেছিলেন তামিম, সাকিবরা। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৪ এসেছিল এনামুল হকের ব্যাট থেকে। অপরাজিত ৩৩ রান করেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। ভারতের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছিলেন অমিত মিশ্রা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ২ উইকেটে জয়ের রান তুলে নেয় ভারত। ওপেন করতে এসে রোহিত শর্মা ৫৬ রানের ইনিংস খেলে ভিতটা তৈরি করেই দিয়েছিলেন। অপরাজিত ৫৭ রান করে শেষ কাজটি করে যান বিরাট কোহালি।

২০১৫ বিশ্বকাপ: ভারত ১০৯ রান জয়ী

এই বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। জিতেছিল ভারত। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রান তোলে ভারত। রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে আসে ১৩৭ রানের ইনিংস। সুরেশ রায়না করেন ৬৫। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। জবাবে ব্যাট করতে এসে ৪৫ ওভারে ১৯৩ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ। কেউই বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি। ভারতের হয়ে ৪ উইকেট নেন উমেশ যাদব। 

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ভারত ১ রানে জয়ী

মাত্র ১ রানে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলেছিল ভারত। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে হয়েছিল এই ম্যাচ। লক্ষ্যটা এমন কিছু বেশি ছিল না। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই জয়ের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। শেষ বলে মোস্তাফিজুর রান আউট না হলে ফল অন্যরকম হতে পারত। শেষ বলে জয়ের রান নিতে গিয়ে তিনি আউট হয়ে ফেরেন। ১৪৫ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।-আনন্দবাজার।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুন/জেইউএম)