‘ঈদ তো সাহেব গো’

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০১৭, ১১:১০ | আপডেট: ১৮ জুন ২০১৭, ১১:৩৮

কাজী রফিকুল ইসলাম

রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দেখা মেলে বেলুন বিক্রেতার। ঈদকে সামনে রেখে তাদের আনাগোনাও বেড়েছে। এরা বেলুন বিক্রি করতে গিয়ে পথচারীদের বিরক্ত করছে, এমন অভিযোগ নিয়মিত। কেউ কেউ বেলুন না নিয়েই টাকা দিয়ে যাচ্ছেন এই শিশুদের।

রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, মিরপুর, হাজারীবাগ ও লালবাগে এ ধরনের বেলুন বিক্রেতার সংখ্যা চোখে পরার মত। প্রতিদিন বিকেল হলেই এদের দেখা মেলে শপিংমল ও রাজধানীর বিভিন্ন ট্রাফিক সিগনালে। তবে, আসন্ন ঈদকে উপলক্ষ করে এদের সবারই অবস্থান নামজাদা শপিং মলের সামনে।

মোহাম্মাদপুর এর আসাদগেট, শ্যামলী, রিং রোডে যে সকল বেলুন বিক্রেতা দেখা যায়,  তাদের মধ্যে কয়েকজন জান্নাত, রাসেল, সাইফুল, কবির, সুমন। রাসের ছাড়া এদের কারোই বাবা নেই। তবে, রাসেলের বাবা থাকলেও, দ্বিতীয় বিয়ে করে আলাদা থাকে। তাই প্রয়োজনের তাগিদেই তারা রাস্তায়।

৫ টাকায় কিনে প্রতিটি বেলুন ১০ টাকায় বিক্রি করে এরা। প্রত্যেকে প্রতিদিন ৬-১০ টি করে বেলুন বিক্রি করতে পারে। রমজানে বিক্রি বেড়েছে। নেই সন্তুষ্টি। কারণ কিছু দিন পরেই ঈদ। সবারই রয়েছে বাড়তি চাহিদা।

বেলুন বিক্রেতা জান্নাত বলে, " ঈদতো সাহেবেগো। সবে বেশি টাহা দিয়া নতুন কাপুর কেনে। ১০ টাহা দিয়া পোটকা(বেলুন) কেনতে চায় না"।

সাধ্য না থাকলেও সাধ আছে। নতুন কাপড় হোক বা না হোক, ঈদের দিন মায়ের হাতের সেমাই খেয়ে ঘুরতে যেতে চায় সবাই। নতুন কাপড়ের ইচ্ছে আছে। কেনার সাধ্য নেই। তাই প্রত্যাশা, কেউ যদি একটা শার্ট বা জামা দেয়।

ঈদে নতুন পোশাকের বিষয়ে অনেকেই উদাসীন। গত ঈদে সুমনের জোটেনি নতুন কাপড়। এবার যে পাবে, তাও নিশ্চিত না। সুমন জানায়, ‘গেল বচ্ছর এক সাংবাদিক মায়রে একটা কাপুড় আর ট্যাকা দিছিল। আমি কিছু পাই নাই। এইবার নিজে একটা শাট কিনুম। ১০০ ট্যাকা জমাইছি। বন্দুগো লগে ঈদের দিন ঘুরুম।’

ঢাকাটাইমস/১৫জুন/কারই/কেএস