কোর্টনির আমলে বোলিংয়ের ‘বেহাল’ দশা

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৭, ১১:০৯ | আপডেট: ১৬ জুন ২০১৭, ১১:৫৩

জহির উদ্দিন মিশু, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

কোর্টনি ওয়ালশ, এক সময়ের দুর্দান্ত একজন পেসার। যার সামনে হিমশিম খেত বিশ্বের সব তাবড় ব্যাটসম্যান। ভালো ইনিংস খেলার আগেই ব্যাটসম্যানদের বিদায় করতেন কোর্টনি। সাবেক এই ক্যারিবিয়ান তারকা দেশের হয়ে ১৩২ টেস্টে ৫১৯টি উইকেট নিয়েছেন। ২০০১ সালে অবসর নেন তিনি। টেস্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসেবে অনেক দিন ছিল কোর্টনি ওয়ালশের নাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রঙ্গিন জার্সিতে ২০৫ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ২২৭টি উইকেট। এছাড়া ২২টি টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই ওয়ালশ।

এক বুক আশা নিয়ে সেই অসাধারণ প্রতিভার মানুষটিকে করা হয় বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ। স্বপ্ন তাসকিন-মোস্তাফিজদের ধার আরও শাণিত করা। কিন্তু কোর্টনি যোগ দেওয়ার প্রায় ১০ মাস কেটে যাচ্ছে, পেস আক্রমণে তেমন কোনো ফল পাচ্ছে না বাংলাদেশ। উল্টো কেনো জানি ভোতা হয়ে পড়েছে টাইগারদের বোলিং বিভাগ। তবে কি জং পড়েছে পেসারদের হাতে? প্রশ্ন ক্রিকেটবোদ্ধাদের।

কোর্টনির হাত ধরে যাত্রাটা কতটা মলিন সেটা পরিসংখ্যানও সাক্ষ্য দিচ্ছে। বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ হওয়ার পর মাশরাফিরা ওয়ানডে জিতেছে ৭টি। খেলেছে ২০টি ম্যাচ। সাত ম্যাচের মধ্যে বোলারদের হাত ধরে জিতেছে মাত্র চারটি। তাও বড় দলের বিপক্ষে দুটি আর খর্বশক্তির দল আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ জিতিয়েছেন বোলাররা।

তার ঠিক এক কদম পেছনে ফিরলে বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণ নিয়ে বাহবা দিবেন অনেকই। বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বোলিং কোচ হিসেবে দারুণ সফল ছিলেন হিথ স্ট্রিক। তার সময় মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদের মতো পেসারদের উত্থান বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করেছে। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে সাফল্যের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ জয়ে স্ট্রিকের হাতে তৈরি বোলিং আক্রমণের বড় ভূমিকাও ছিল। যে সফল যাত্রা শেষ হয় গেল বছরের মে মাসে।

যদিও পেসারদের সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে উইকেট একটা বড় ফ্যাক্টর। তবু এতটা বিবর্ণ দশা আগে হয়েছে কি বাংলাদেশে দলে। যেখানে বাংলাদেশ একটা সময় ব্যাটিংয়ে উল্লেখযোগ্য সংগ্রহ গড়লেই প্রতিপক্ষের সঙ্গে টেক্কা দিতো বোলিং দিয়ে। সেই বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ ধীরে ধীরে যেন প্রাণ হারাচ্ছে। ব্যাটসম্যানরা তাদের দায়িত্ব পালন করলেও বোলাররা পারছেন কি-না, থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। উত্তরটা কে দেবে? গুরু নাকি ছাত্ররা।

(ঢাকাটাইমস/১৬ জুন/জেইউএম)