ঈদ যাত্রায় পাটুরিয়া ঘাটে বিশেষ ব্যবস্থা

প্রকাশ | ২০ জুন ২০১৭, ১০:৩৭ | আপডেট: ২০ জুন ২০১৭, ১১:০৫

মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ

ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে এবং পারাপার নিশ্চিত করতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিসি। ব্যস্ততম পাটুরিয়া ঘাট এলাকা যানজট মুক্ত রাখতে ঈদের তিনদিন আগে থেকে ঈদের তিনদিন পর পযন্ত সব ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হবে। তবে বিশেষ উদ্যোগে পার হতে পাড়বে পচনশীল কাঁচামালবাহী ট্রাক।

এছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে চলাচলকৃত লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধে  এবং ঘাট এলাকায় আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে একজন নির্বাহী ম্যাজ্রিস্ট্র্রেটের নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হবে ভ্রম্যমাণ আদালত।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার মানুষ ঢাকা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ হয়ে বাড়ি ফেরেন। এ সময় স্বাভাবিকের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ এই ঘাটে মানুষের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ বেশি। এ অবস্থায় পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার অব্যাহত থাকলে পাটুরিয়া ঘাটে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা থাকে।

গত কয়েকবছর ধরে বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই পদ্মার পানি বেড়ে ভাঙন দেখা দেয় দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। যমুনার পানি নি¤œস্তর থেকে উচ্চ স্তরে বৃদ্ধি পেয়ে ঘাটের পন্টুন ডুবে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন উঠানামা। এতে যানজটের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিএর আরিচা শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, ‘ঈদে দৌলতদিয়া ঘাট যেন বন্ধ না হয় সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘পদ্মার পানি যতই বৃদ্ধিপাক কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে আমরা দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট সচল রাখতে পারব।’

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে পদ্মার পানি যে লেভেলে আছে তাতে দৌলতদিয়া ঘাট নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। আমরা সবদিক চিন্তা করে সজাগ আছি, কোন ধরনের বিপর্যয় ঘটলে আমরা সামাল দিতে সক্ষম হব।’

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আজমল হোসেন বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বর্তমানে আটটি রো-রো, দুইটি কে টাইপ ও ছয়টি ইউটিলিটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঈদে যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক রাখতে আরও চারটি ফেরি এই বহরে সংযুক্ত করা হবে। নৌ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই রুটে ঈদের আগের তিনদিন এবং পড়ের তিনদিন সব ধরনের মালবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক নাজমুছ সাদাত সেলিম বলেন, পাটুরিয়া ঘাটের সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য ঈদের তিনদিন আগে ঘাট এলাকায় একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হবে। তিনি বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে চলাচল করা লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠা বন্ধে এবং ঘাটে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে একজন নির্বাহী ম্যাজ্রিেেস্ট্র্রটের নেতৃত্বে ঘাটে সার্বক্ষণিক কাজ করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ,আনসার ও র‌্যাবসহ ছয় শতাধিক কর্মী ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় মোতায়েন রাখা হবে।

ঢাকাটাইমস/২০জুন/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি