পাহাড় ধস

‘ক্ষতিগ্রস্তদের ১৫ জুলাই পর্যন্ত খাবার দেবে সরকার’

প্রকাশ | ২০ জুন ২০১৭, ১৪:০৩ | আপডেট: ২০ জুন ২০১৭, ১৮:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রতিক পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ১৫ জুলাই পর্যন্ত সরকার খাবার দেবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা মোকাবেলায় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। খাদ্য কোনো ঘাটতি নেই। যেসব লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের একসভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গত ১২ জুন সোমবার রাতভর প্রবল বৃষ্টির পর মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানসহ পাঁচ জেলার বেশ কিছু এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে দেড় শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোক মারা গেছে রাঙামাটিতে। এই জেলাতেই শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া জেলাটির সঙ্গে চট্টগ্রাম এবং এর পাশের দুটি জেলা বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়। খাবার, পানি আর জ্বালানি সঙ্কটে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে আছে পার্বত্য জেলাটি।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য ৮৪ লাখ টাকা, ৫০০ বান্ডিল টিন, ১০০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া আহতদের পাঁচ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে ৮৩টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

এ সময় পাহাড়ে মানুষ মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।

পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত রাঙ্গামাটি পরিদর্শনে যাওয়ার সময় গত রবিবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলা হয়। এতে ফখরুলসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতা আহত হন। হামলার পর চট্টগ্রাম ফিরে ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, এটা ব্যক্তির ওপর নয়, গণতন্ত্রের ওপর হামলা।

ফখরুলের গাড়িবহরে হামলার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিবের ওপর হামলার বিষয়টি ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে হামলার ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।

মন্ত্রী বিএনপিকে ফাঁকা আওয়াজ না দিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানান।

আন্তঃমন্ত্রালয়ের বৈঠকে পাহাড় রক্ষায় তিন ক্যাটাগরির সুপারিশ করা হয়। এগুলো হলো পাহাড় না কাটা, হাউজিং না করা, গাছ লাগানো এবং যারা পাহাড় কাটছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। আলোচনার পর এসব প্রস্তাবের ব্যাপারে সরকার করণীয় নির্ধারণ করবে। অনুষ্ঠানে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সচিব শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/২০জুন/এমএম/এমআর