বুধবার থেকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে গাড়ি চলবে

প্রকাশ | ২০ জুন ২০১৭, ২৩:২৮ | আপডেট: ২১ জুন ২০১৭, ২৩:১৭

রাঙামাটি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পাহাড় ধসে বিপর্যস্ত রাঙামাটির সাথে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি। তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং সেনাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে বুধবার সকাল ১০ টার পর থেকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

শালবন এলাকায় ধসে পড়া সড়কের কাজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষ করায় গাড়ি চলাচল শুরু করা হচ্ছে। এসময় শুধু হালকা যানবাহন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আবু মুছা বলেন,  বৃষ্টি না হলে বুধবার ভারী যানবাহন ছাড়া হালকা যানবাহন রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যেতে পারবে। তবে অন্যান্যগুলো সময় লাগবে।

এদিকে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন। এতে বলা হয়েছে, পাহাড় ধসে মোট নিহতের সংখ্যা ১১৮ জন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।  পুরো জেলায় আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ৩২টি। রাঙামাটি সদরে ১৯টি। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়াদের মধ্যে পুরুষ  ১০৫৬ জন, মহিল ১০২৭ জন, শিশু ৭৫৬ জন, পরিবারের সংখ্যা ৬৮৫টি।

এদিন বিকালে শহরের তবলছড়ি পাবলিক কলেজে আশ্রয় নেওয়া ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের স্ত্রী ভেদদেী, যুব উন্নয়ন আশ্রয় কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্থদের কাপড় বিতরণ করেন।

সরকারি অনুদান
 
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় পাহাড় ধসের পর থেকে সরকার দুর্গতদের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৬৫ লাখ নগদ টাকা, ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণে ১৫ লাখ নগদ এবং মঙ্গলবার ১ কোটি টাকা এবং ২০০ মেট্রিক টন চাল অনুদান দিয়েছে।  এর মধ্যে থেকে ৪৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং ২০৬ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান বলেন, বর্তমানে খাবারের কোনো সংকট নেই। সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার ১ কোটি টাকা, ২০০ মেট্রিক টন চাউল,  ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের রাখার জায়গা না থাকায় এই মুহূর্তে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে না। তবে যাদের রাখার জায়গা আছে তাদের দেওয়া হচ্ছে। আগামী ঈদের আগে প্রত্যককে পোষাক দেওয়া হবে। এছাড়া যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা, ৩০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার ভোর ও সকালে রাঙামাটি জেলা বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে ৪ জন সেনাবাহিনীসহ ১১৮ জন নিহত হয়। 

নিহতদের মধ্যে রাঙামাটি শহর এলাকায় মারা যায় ৭০ জন, কাউখালী উপজেলায় ২৩ জন, কাপ্তাই উপজেলায় ১৮ জন, বিলাইছড়ি ৩ জন এবং জুরাছড়ি উপজেলায় মারা গেছে ৪ জন। 

নিহত সেনাবাহিনীর সদস্যরা হলেন- মেজর মাহফুজ, ক্যাপ্টেন তানভীর, ল্যান্স কর্পোরাল আজিজুল এবং সিপাহী শাহিন। 

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/প্রতিনিধি/ইএস)