বরিশাল-২: বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে তরুণ দুলাল

প্রকাশ | ২১ জুন ২০১৭, ১১:০৪ | আপডেট: ২১ জুন ২০১৭, ১১:৫৯

মহিউদ্দিন মাহী, ঢাকাটাইমস

দেশের অন্যান্য এলাকার মতো বরিশালেও বইতে শুরু করেছে আগাম নির্বাচনী হাওয়া। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটছেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির প্রার্থীরাও নড়েচড়ে বসেছেন। তারাও

বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে বিএনপির তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। দুই প্রবীণ নেতার সঙ্গে মনোনয়ন লড়াইয়ে আছেন একজন তরুণ। তরুণ নেতাটি হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দুলাল হোসেন। অন্য দুজনের একজন সাবেক হুইপ শহিদুল হক জামাল। অন্যজন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই আসনে বিএনপির এই তিন প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়নের দৌড়ে অর্থাৎ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে এগিয়ে আছেন ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি দুলাল হোসেন। এই তরুণ নেতা বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।

তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে স্থানীয় নেতাকর্মীর কাছে বেশ জনপ্রিয় ‍দুলাল হোসেন। দলও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবীন-প্রবীণ সমন্বয়ের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই দুলাল হোসেনের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকার দাবি তার অনুসারী নেতাকর্মীদের।

ছাত্ররাজনীতি থেকেই এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছেন দুলাল হোসেন। এখন পুরোপুরি এলাকার মানুষের পাশেই সময় দেন। দলের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নেও কাজ করছেন তিনি।

বিএনপির আরেক প্রার্থী ধনাঢ্য ব্যবসায়ী এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। তিনি মনোনয়ন দৌড়ে আলোচনায় থাকলেও এলাকায় সময় দেন কম। ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে তিনি ব্যস্ত থাকেন বেশি। বছরের অধিকাংশ সময় কাটান বিদেশের মাটিতে। এসব কারণে এলাকার মানুষের সঙ্গে তার সংযোগটা বেশ ঢিল। এ ছাড়া দলীয় হাইকমান্ডও এ ব্যাপারে ওকিবহাল বলে জানা গেছে।

আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক হুইপ শহিদুল হক জামাল। তিনি দলে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত। মাঝখানে দল ভাঙার কাজে যুক্ত থাকায় দলীয় চেয়ারপারসন তার ওপর বেশ বিরক্ত। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের সব সংস্কারপন্থীকে নিলেও তার বিষয়ে অনড় অবস্থানে আছেন চেয়ারপারসন।

তিন প্রার্থীর মধ্যে অপেক্ষাকৃত তরুণ দুলাল হোসেন। তিনি মনোনয়ন পাবেন কি পাবেন না সেটা দলের চেয়ারপারসনের ছেড়ে দিয়েছেন। তার ভাষ্য, ‘মনোনয়ন দেয়ার মালিক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আমি দলের জন্য কাজ করছি। মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছি। দলের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে আমি আমার এলাকার জনগণ ও নেতাকর্মীদের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে একথা সবাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, ধানের শীষ প্রতীক এখানে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।’

সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ও শহিদুল হক জামালের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি। তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/মোআ)