দিনাজপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা

প্রকাশ | ২১ জুন ২০১৭, ১৫:৫৭

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর

উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। শোপিং মল ও সুপার মার্কেটগুলোতে সব বয়সের মানুষের উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফুটপাতেও চলছে ঈদের কেনাকাটা।

দিনাজপুরে এবার মেঘাটু, কারিনা, মনটেক্স, নাতাশা, প্লাজো, ফ্লোরটাচ, সাউথ কাতান, জর্জেট কাতান, বেনারসি শাড়ি-থ্রিপিস এবং পাঞ্জাবি চাহিদা বেড়েছে। লেটেস্ট যোগ হয়েছে সিল্কের বাহুবলী। ক্রয় করতে তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ ভিড় করছে শোপিং মল ও সুপার মার্কেটগুলোতে।

সকাল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে কেনাবেচা। তবে একই নামে দেশি শাড়ি ও থ্রিপিস মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে গরমের  কারণে সুতির কাপড়ের চাহিদা এবার বেশি। উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা তাদের পছন্দের কাপড় কিনতে উপচেপড়া ভিড় শহরের গুলশান মার্কেট, লুৎফুননেছা টাওয়ার, বেগম প্লাজা, রহিম সুপার মার্কেট, জাবেদ সুপার মার্কেট এবং গ্রিন সুপার মার্কেটগুলোতে। এবার ঈদে উচ্চবিত্ত গৃহবধূদের পছন্দের শাড়ি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা মূল্যের রাজশাহী সিল্ক, সাড়ে ৭ হাজার টাকায় সাউথ কাতান, ৬ হাজার টাকায় জর্জেট কাতান, ৭ হাজারে মোহিনী মোহন কাঞ্জিলাল শাড়ি গৃহবধূদের আর্কস্ট করে তুলেছে। আবার একই নামে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা মূল্যের শাড়ি মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের কাছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে দেশি কাপড় ভারতী কাপড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

এবার নাতাশা, বাহুবলী, মেঘাটু, ফ্লোর টার্চ, লেহেঙ্গা সবার নজর কেড়েছে। দাম হাতের নাগালে হওয়ায় ক্রেতারাও খুশি। এবার ঈদে দিনাজপুরের বিপনী বিতানগুলোতে বিদেশি কাপড়ের পাশাপাশি দেশি পোশাকগুলো উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের নজর কেড়েছে। দাম কিছুটা বেশি হলেও বেচাবিক্রি নিয়ে খুশি বিক্রেতারাও।

জেলা শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা রথখলা, বড়বাজার, তেরিপট্টি ও গৌরাঙ্গবাজারের বিপণী বিতানগুলোতে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। মার্কেটগুলোতে দেশি পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয় পোশাকের কেনাবেচা চোখে পড়ার মতো। শাড়িসহ রেডিমেড পোশাক কেনার জন্য ছোট-বড় সব মার্কেটেই ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। শিশু ও নারীদের পাশাপাশি ছেলেরাও ঈদের নতুন পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছে মার্কেটগুলোতে। রমজানের প্রথম দিকে দোকানে ক্রয়-বিক্রয় কম থাকলেও বর্তমানে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি। ক্রেতাদের ভিড় সামাল দিতে অনেক মার্কেটেই দোকানিদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে। এমনকি এবারের ঈদ মার্কেটে ক্রেতাদের মধ্যে সিংহভাগই নারী।

তবে নিম্ন আয়ের ক্রেতারা ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে বেশি। এর বাইরে কসমেটিকস দোকানেও কমতি নেই ক্রেতাদের। গত বছরের তুলনায় পোশাকের দাম এবার খুব একটা না বাড়ায় সন্তুষ্ট ক্রেতারা। সেই সাথে কেনা-কাটার নিরাপদ পরিবেশের কারণেও ক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

বিক্রেতারা জানান, ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে দোকানে দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নানান ডিজাইনের লং কামিজ লেহেংগাসহ দেশি-বিদেশি রঙ-বেরঙের পোশাক। এবার তরুণীদের চোখ বাহুবলীর দিকেই বেশি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার দেশি পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয় পোশাক বিক্রি হচ্ছে সমানতালে।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, দেশি বিদেশি যাই হোক ঈদে চাই পছন্দের পোশাক। কিন্তু হতে হবে সাধ্যের মধ্যে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে বেচা-বিক্রিও ততই বাড়বে।

ঈদ উপলক্ষে এখন ব্যস্ততার শেষ নেই দর্জির দোকানগুলোতেও। বেশির ভাগ দর্জির দোকানে নতুন করে কোনো অর্ডার নেয়া হচ্ছে না। আগে নেয়া কাজগুলো শেষ করার চেষ্টা করছে তারা। জুতা’র দোকানেও ভিড়ের কমতি নেই।

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/নিজস্ব প্রতিবেদক/এলএ)