ম্যাডাম আমার ওপরই আস্থা রাখবেন: মোস্তফা

প্রকাশ | ২১ জুন ২০১৭, ২০:৫১

মহিউদ্দিন মাহী, ঢাকাটাইমস

২০০৮ সালে নির্বাচন দলের মনোনয়ন চেয়েও পাননি। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ সংসদীয় আসনে (দশমিনা-গলাচিপা) মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা। তার মতে, তিনি এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংযোগও ভালো। তাই এবার দল ও দলের চেয়ারপারসন তার ওপরই আস্থা রাখবেন।

পটুয়াখালী-৩ আসন নিয়ে ঢাকাটাইমসে প্রকাশিত এক পর্যালোচনার প্রতিক্রিয়ায় গোলাম মোস্তফা এই আশা প্রকাশ করেন।

আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মোস্তফা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দশমিনা-গলাচিপা আসনে বরাবর আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়। কিন্তু এলাকার মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। এর পরিবর্তন খুব জরুরি।’

বিএনপি যোগ্য প্রার্থীর অভাবে এই আসনটি হারায় বলে মনে করেন গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে আসনটিতে বিপ্লব করার। এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি।’

জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে মাত্র একবার বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমলে এই এলাকার সাংসদ হয়েছিলেন বাতেন তালুকদার। তিনি অবশ্য ওই সময় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এরপর বিএনপি কয়েক দফা ক্ষমতায় গেলেও দলটির কোনো প্রার্থী এখানে জয়লাভ করতে পারেনি।

বারবার পরাজয়ের পেছনে বিএনপির প্রার্থী সংকটকে দায়ী করছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের ভাষ্য, বিএনপি গত নির্বাচনগুলোতে যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারেনি। এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরেছে তারা।

২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন শাজাহান খান। কিন্তু ওই সময় বয়সে তরুণ ও এলাকায় নতুন ‍মুখ আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির কাছে হেরে যান বড় ব্যবধানে। সেবার বিএনপির প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন গোলাম মোস্তফা। কিন্তু শেষমেশ মনোনয়ন পাননি তিনি।

এর আগে ২০০১ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় যায় বিএনপি। কিন্তু এই আসনে তাদের প্রার্থী শাহজাহান খান হারেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ খ ম জাহাঙ্গীরের কাছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যোগ্য প্রার্থী বাছাই করতে না পারলে এখানে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা কঠিন হবে বলে মনে করছেন গোলাম মোস্তফা।

গোলাম মোস্তফা ১৮ বছর ধরে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে সব সময় পাশে থাকেন বলে জানান। বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না হয়েও এলাকার উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। এলাকায় বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দাতা তিনি। মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণেও তিনি অবদান রেখে চলেছেন।

এলাকার দলীয় কর্মসূচিতে তার সক্রিয়তার কথা বলতে গিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই রমজানেও এলাকায় গিয়েছি। দলের ইফতার আয়োজন করেছি। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন করেছি। এলাকার মানুষের জন্যই আমি কাজ করছি।’

সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী গোলাম মোস্তফা, ‘দলের জন্য ১৮ বছর ধরে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করছি। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা থেকে শুরু করে এলাকার মানুষের সব ধরনের উন্নয়নে আমার অবদান আছে। আশা করছি, আমি আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাব। ম্যাডাম আমার ওপর আস্থা রাখবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।’      

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/মোআ)