সদরঘাটমুখী জনস্রোত

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০১৭, ১৮:২১

ইসরাফিল হোসাইন, ঢাকাটাইমস

ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে পা ফেলানোর জায়গা নেই সদরঘাট টার্মিনালে। স্রোতের মতো মানুষ এখন ছুটছে সদরঘাটের দিকে। প্রতিটি লঞ্চ যাত্রীতে ঠাসা অবস্থায় ছেড়ে যাচ্ছে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।

সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে গতকালই। অনেকে ইতোমধ্যে চলে গেছেন। লঞ্চযাত্রীদের বড় একটি অংশ যাচ্ছে আজ। সাধারণত সন্ধ্যায় দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলো ছেড়ে গেলেও এখন নির্ধারিত কোনো সময় নেই। যাত্রী ভরলেই ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।

সদরঘাট ঘুরে দেখা যায়, যেসব লঞ্চ সন্ধ্যা ছয়টায় ছাড়ার কথা সেগুলো দুপুর দুইটায়ই কানায় কানায় ভরা। কেউ কাপড় বা চাদর দিয়ে জায়গা রাখছে, আবার কেউ পাটি দিয়ে জায়গা রাখছে। লঞ্চের ছাদেও খালি নেই কোনো জায়গা।

ছাড়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের অপেক্ষা করছে না লঞ্চগুলো। ঘাটে ভিড়ছে আর প্রতিযোগিতা করে যাত্রীরা লঞ্চে উঠছে। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর লঞ্চগুলো সময়ের আগেই ছেড়ে যাচ্ছে। সুরভী ৮ ও ৯, পারাবত ৯, ১১, ১৫, অভিযান ৭, সুন্দরবন ১০,১২, কর্ণফুলি ৪,১০, এম ভি ফারহান ১০, মর্নিংসান, ফারুক শিপিং লাইন্স, এম ভি টিপু ১২ এসব লঞ্চ সময়ের অনেক আগেই ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

আশুলিয়া এসেছেন রাশেদুজ্জামান নামের এক যাত্রী। যাবেন বরিশালে। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আগে থেকেই জানি ঈদের সময় লঞ্চে জায়গা পাওয়া যায় না। তাই সকাল নয়টায় বাসা থেকে রওনা হয়েছি এবং এখানে জুমার নামাজের আগেই পৌঁছেছি। এত মানুষের ভিড়ে জায়গা পাওয়া কষ্টকর। কষ্ট হলে হোক তুবও আত্মীয়স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দটা ভাগ করতে বাড়ি যাচ্ছি।’

মুসলমানদের ঈদ উৎসব হলেও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও ছুটি পেয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। শিখা রাণী যাবেন ভোলায়। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের কোনো উৎসব না থাকলেও কয়েক দিন ছুটি থাকায় বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছি। কষ্ট হচ্ছে কিন্তু এমন ছুটিতো আর সব সময় পাওয়া যায় না। আবার অন্য সময় কাজের চাপও বেশি থাকে। তখন কাজ কর্ম ফেলে বাড়ি যাওয়া যায় না।’

ফারুক নামে একটি লঞ্চের কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে জানান, অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে সময়মতো লঞ্চ ছাড়া যাচ্ছে না। লঞ্চে যাত্রী ভরে গেলে প্রশাসনই লঞ্চ ছাড়ার জন্য বলছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘যাত্রীদের মানা করা সত্ত্বেও তারা ছাদে গিয়ে জায়গা দখল করে বসছে। কী করবে বাড়িতো যেতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/আইএইচ/জেবি)