বাঁধের একশ’ মিটার যমুনায়, আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০১৭, ২১:২৭

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বাঁধে ৩৬ দিনের মাথায় তৃতীয় দফায় ধস নেমেছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ ধসের বিস্তৃতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ মিটারে। নির্মাণ কাজে ত্রুটির কারণে বাঁধের খগেনের ঘাট থেকে টেকির মোড় অংশে এ ধস নেমেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এদিকে নদী ভাঙন কবলিত এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের এ বাঁধ ধসের ফলে যমুনা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে ধস ঠেকাতে বালিবোঝাই জিও টেক্স বস্তা ফেলে তা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডে।

এলাকাবাসী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে সূত্র জানায়, সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত চৌহালী উপজেলার পশ্চিম পাড়ের বাকি অংশ এবং টাঙ্গাইল জেলা রক্ষায় ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ বাঁধ গত ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর শুরু হয়। যার প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। হঠাৎ করে শুক্রবার নদীর চৌহালীর বাঁধের খগেনের ঘাট থেকে টেকির মোড় অংশের উপরের অংশে ১০০ মিটার গভীরে ধসে যায়। বর্তমানে ধসে যাওয়া স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সাধারণ স্রোতে আকস্মিক এ ধসের ফলে এলাকাজুড়ে সবার মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান খান জানান, শুক্রবার দুপুরে চৌহালী উপজেলার খগেনের মোড় এলাকায় নির্মাণাধীন বাঁধের ১০০ মিটার এলাকায় ধস দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধিতে এই ধস দেখা দিয়েছে।

ভাঙনরোধে জরুরিভিত্তিতে কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।

চৌহালীতে ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বাঁধে গত ২, ১৬ মে ও ৯ জুন একইভাবে এ বাঁধের খগেনের ঘাট এবং আলীয়া মাদ্রাসা অংশে প্রায় ১২৫ মিটারজুড়ে ধসে যায়।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/প্রতিনিধি/এলএ)