চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৭, ১২:১৪ | আপডেট: ২৪ জুন ২০১৭, ১২:২৫

কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস

ঈদে আয়োজনটা যেমন বিশাল তেমনি প্রয়োজনটাও। তাই তো ঈদকে সামনে রেখে হিসাবি মানুষটাও হয়ে ওঠেন কিছুটা বিলাসী। ঈদকে উপলক্ষ করে এখন বেশ সরগরম রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিক্রেতারা অলস সময় পার করলেও, শুক্রবার থেকে দম ফেলার সুযোগ পাননি দোকানিরা। সে ধারাবাহিতা আছে আজো। থাকবে চাঁদ রাত অবধি। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা।

রাজধানী ঢাকার বেশ কিছু বিপণীবিতান ও শপিং মল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের রমরমা বেচাকেনা। কেউ কিনছেন নিজের জন্য, কেউবা প্রিয় মানুষটার জন্য। কেউবা স্বপরিবারে এসেছেন ঈদের পোশাক কিনতে। বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গী করে পোশাক পছন্দ করছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই সামলাতে হচ্ছে বাড়তি চাপ।

নিউমার্কেটে সন্ধ্যার পর নামছে জনস্রোত।  উজানে গা ভাসাচ্ছেন অনেক দোকানি। চাচ্ছেন অতিরিক্ত দাম। ঈদের আগে পোশাকের চাহিদার সাথে সাথে বৃদ্ধি পায় দাম। অনেক ক্ষেতেই তা হয় স্বাভাবিক দামের দ্বিগুণ। এবারো দাম বেড়েছে ছেলেদের শার্ট-প্যান্ট-পাঞ্জাবীর। বাচ্চাদের মানসম্মত পোশাকের দাম আকাশ ছোয়া।

গরমকে টেক্কা দিতে সবাই বেছে নিচ্ছেন উজ্জ্বল রঙের পোশাক। ব্রান্ড ও কাপড়ের মান ভেদে, ছেলেদের পাঞ্জাবী বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৪২০০ টাকায়। শার্ট ৪০০-২৬০০ টাকায়। জিন্স ৬০০- ৩২০০ টাকায়।

গাউছিয়া আর চাঁদনীচক রয়েছে মেয়েদের দখলে। এখানেও উজ্জল রঙের পোশাকের চাহিদা লক্ষ্য করা গেছে। শাড়ি, থ্রি-পিছ, গাউন আর কসমেটিক্সের এর বিপুল চাহিদা। চাহিদার দিক থেকে এগিয়ে বিভিন্ন রঙ ও স্টাইলের থ্রি-পিছ এবং গাউন। বাড়তি চাহিদা দেখা গেছে ভারতীয় থ্রি-পিছের প্রতি। এখানে ব্রান্ড বিভাগে দেশীয় থ্রি-পিছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০-৭০০০ টাকায়। অন্যদিকে ভারতীয় থ্রি-পিছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৪০০০ টাকায়। গাউন ২০০০-৮০০০ টাকা।

তুলনামুলক কম ভিড় দেখা গেছে মেয়েদের কসমেটিকস ও জুতার দোকানে। পোশাকের সাথে মিল রেখে মেয়েরা জুতা ও কসমেটিক্স কিনে থাকে, তাই এখনো ভিড়টা একটু কম। এমনটাই জানালেন নিউমার্কেটের কসমেটিকস ব্যবসায়ী বাবুল। তবুও যে ক্রেতা কম এমনটি মানতে রাজি নন তিনি।

বিক্রির একই রকম চিত্র দেখা গেছে শপিং মল গুলোতে।  বিকেল হতে না হতেই ক্রেতায় পূর্ণ বিলাসবহুল বসুন্ধরা শপিংমল। শপিংমলে ইফতারের ব্যবস্থা থাকায় বিকেলে শপিং এ আসতে কোন প্রকার অসুবিধা হচ্ছে না ক্রেতাদের। ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা।

দু'বছর বয়সী মোহাম্মাদপুরের টোকিও স্কয়ার। ইতিপূর্বেই শপিংমলটিতে ক্রেতার সমাগম চোখে পরার মত। ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ছাড় এর ব্যবস্থা দেখা গেছে কয়েকটি দোকানে। বিক্রি বেড়েছে গত শুক্রবার থেকে। চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। এমনটাই আশা ব্যবসায়ীদের।

ঢাকাটাইমস/২৪জুন/কারই/এজেড/কেএস