ঈদের পর আল আমিনের দুই পরীক্ষা

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৭, ০৮:৩২

জহির উদ্দিন মিশু, ঢাকাটাইমস

ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে আসন্ন অস্ট্রেলিয়া এবং সাউথ আফ্রিকা সিরিজের প্রাথমিক স্কোয়াডে নাম লেখান দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসার আল আমিন হোসেন। কেবল স্কোয়াডে নাম লেখালেই হবে না। একাদশে জায়গা পেতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হবে আল আমিনকে। কারণ পেস আক্রমণে আল আমিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান আর শফিউল ইসলাম।

যেখানে মোস্তাফিজ অটোমেটিক চয়েস। বাকিদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে আল আমিনকে। অবশ্য তার জন্য একটা রাস্তা খোলা আছে। রুবেল হোসেন ইনজুরিতে পড়ায় প্রায় ছয় সপ্তাহের মত মাঠের বাইরে থাকবেন। সেই ফাঁকে নিজেকে প্রমাণ করে আল আমিন জায়গা করে নিতে পারেন জাতীয় দলে। অস্ট্রেলিয়া টেস্টকে লক্ষবস্তু হিসেবে ধরে হয়তো সেই কাজটাই সারতে চাইবেন আল আমিন।

আল আমিনকে এগিয়ে রাখবে ঘরোয়া টুর্নামেন্টের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। কয়েকদিন আগে পর্দা নামা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ১৪ ম্যাচে ২৯ উইকেট নিয়েছেন আল আমিন। সেরা উইকেট টেকারের তালিকায় তিন নম্বরে আছেন তিনি। কাজের কাজ কতটা হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। অনেকে এরই মধ্যে আল আমিনের প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়াকে আইওয়াশ বলে আওয়াজ দিচ্ছেন।

সত্যি যদি তেমন কিছু হয় তবে আবারও নিরাশ হতে হচ্ছে আল আমিন ভক্তদের। বিপরীতে একাদশে আল আমিনের অন্তর্ভুক্তি হলেও ভালো পারফর্ম দিয়ে জায়গা ধরে রাখতে হবে। মোটা দাগে দুটি পরীক্ষাই দিতে হচ্ছে আল আমিন হোসেনকে। এক, একাদশে লড়াই করে জায়গা পাওয়া। দুই, জায়গা পেলে ভালো পারফর্ম করে পজিশন ধরে রাখা।

অভিষেক হওয়ার পর দীর্ঘ সময়ই দলের বাইরে কাটিয়েছেন আল আমিন। ২০১৪ সালে একদিনের ক্রিকেট ডাক পাওয়া আল আমিনের খেলা হয়নি ২০১৬ সালটা। ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে একটা টেস্টও খেলেননি তিনি। এমন না যে, পারফরম্যান্স খুবই খারাপ। জাতীয় দলের হয়ে অদ্যবধি ৬ টেস্টে ৬টি উইকেট শিকার করেছেন আল আমিন। ১৪টি ওয়ানডে খেলে নিয়েছেন ২১ উইকেট। এছাড়া ২৫ টি-টোয়েন্টি খেলা আল আমিনের ঝুলিতে জমা আছে ৩৯ উইকেট।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/জেইউএম)