এজলাসে হট্টগোল: পাঁচ আইনজীবীর ব্যাখ্যা চাইলো আদালত

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০১৭, ১৩:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

হাইকোর্টের এক বেঞ্চ অফিসারকে মারধর, মামলার নথি তছনছ এবং আদালতের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে পাঁচ আইনজীবীকে হলফনামা আকারে ব্যাখ্যা দাখিল করতে ১০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রবিবার বিচারপতির নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আজ  আদালতে স্বশরীরে হাজিরা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এই পাঁচ আইনজীবী। তারা হলেন আইনজীবী নূরে ই আলম উজ্জ্বল, লিজেন পাটোয়ারী, মাহমুদ, মতিলাল বেপারি ও মোহাম্মদ আলী।

পরে পাঁচ আইনজীবীর মধ্য থেকে নূরে ই আলম উজ্জ্বল, লিজেন পাটোয়ারীকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য ১০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।

আদালতে পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অজি উল্লাহ, সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ, শ ম রেজাউল করিম ও বদরুদ্দোজা বাদল প্রমুখ।

ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে হট্টগোলের ঘটনায় পাঁচ আইনজীবী হাজিরা দিয়েছেন। এর মধ্যে আদালত আইনজীবী নূরে আলম উজ্জ্বল ও লিজেন পাটোয়ারীকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এছাড়া সবাইকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামা আকারে ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

হাইকোর্টের ২৪ নম্বর কক্ষে (এনেক্স) এক বেঞ্চ অফিসারকে মারধর, মামলার নথি তছনছ ও আদালতের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে গত ১৯ জুন হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে পাঁচ আইনজীবীকে ২ জুলাই আদালতে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, ২৪ নম্বর কক্ষে (এনেক্স) কিছু সংখ্যক আইনজীবী চিৎকার শুরু করেন, যা এ আদালতের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। এরপর চার আইনজীবী ডায়াসে চলে এসে রফিকুল ইসলাম নামের বেঞ্চ কর্মকর্তার ওপর চড়াও হন, তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন এবং আদালতের মামলার নথিপত্র তছনছ করেন। তাদের অজুহাত, তালিকাভুক্ত না হওয়া মোশনের (আবেদন) শুনানি হয়নি। আইনজীবী মোহাম্মদ আলীসহ অন্য কিছু আইনজীবী ডায়াসের পাশে দাঁড়িয়ে এসব কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেন। তখন আদালত সংলগ্ন খাস কামরায় থাকা বিচারকেরা আইনজীবীদের এমন হট্টগোলের শব্দ শুনতে পান। আদালতে আইনজীবীদের এমন আচরণ আদালতের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা খাটো করেছে; যা আদালত অবমাননার শামিল এবং শাস্তিযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয় আদেশে।

ঢাকাটাইমস/২জুলাই/এমএবি/এমআর