বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের ১২০০ কোটি টাকা আদায়

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০১৭, ১৭:৫৭ | আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৭, ২১:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঋণ কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত বেসিক ব্যাংক গত আড়াই বছরে এক হাজার দুইশ কোটি খেলাপি ঋণ আদায় করতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোন্দকার মো. ইকবাল। আর এই আদায়ের কারণে লোকসান থেকে বেরিয়ে এসে লাভের মুখ দেখেছে ব্যাংকটি।

চলতি বছর প্রথম ছয় মাসে ১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে রাষ্ট্রয়াত্ত এই ব্যাংকটি। ২০১৬ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির পরিচালন লোকসান ছিল ৪৬ কোটি টাকা। খবর বাসস।

বেসিক ব্যাংকের এই ঘুরে দাঁড়ানো শুরু গত বছরের শেষ প্রান্তিক থেকেই। ২০১৬ সাল শেষে রাষ্ট্রয়াত্ত খাতের এই ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয় ১৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। গত বছর প্রথম প্রান্তিকে লোকসানের পরও বছর শেষে লাভের মুখ দেখা ব্যাংকটি চলতি বছর শেষে গতবারের চেয়ে আরও বেশি লাভের আশায় রয়েছে।

বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদে বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি ছিল এক আলোচিত ঘটনা। ব্যাংকের দিলকুশা, গুলশান ও শান্তিনগর শাখা থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় ৮টি, মতিঝিল থানায় ৫টি এবং পল্টন থানায় ৫টি মামলা করা হয়।

আর ঋণের নামে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এক সময়ে লাভে থাকা ব্যাংকটি লোকসানে পড়ে। ২০১৪ সালে বেসিকের লোকসানের পরিমাণ ছিল ৯৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। পরের বছর তা আরও বেড়ে হয় ২৫৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

ঋণ কেলেঙ্কারিতে লোকসানে পড়ার পর ব্যাংকটির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় সরকার। সমালোচনার মুখেও তিন দফায় আড়াই হাজার কোটি টাকা মূলধন দেয়া হয়। চলতি অর্থবছরেও রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকের জন্য যে দুই হাজার কোটি টাকা যোগান দিচ্ছে সরকার, সেখান থেকেও একটি বড় অংশ পাবে বেসিক ব্যাংক।

মূলধন যোগানোর পাশাপাশি বেসিক ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায়কেও গুরুত্ব দেয়। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোন্দকার মো. ইকবাল জানান, আড়াই বছরে এক হাজার দুইশ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায় করেছেন তারা। আগামীতে এই পরিমাণ আরও বাড়বে।

খোন্দকার মো. ইকবাল বলেন, ‘মোট আমানত ও ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং খেলাপি ঋণ আদায়ের মাধ্যমে আমরা ব্যাংকের পরিস্থিতি বদলাতে সক্ষম হয়েছি। এর পাশাপাশি পরিচালন ব্যয়ও কমানো হয়েছে।’

চলতি বছর জুন মাস শেষে বেসিক ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা, গত বছরের একই সময়ে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা। একইসময়ে ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭৮ কোটি টাকা, গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা।

(ঢাকাটাইমস/০২জুন/ডব্লিউবি)