নিজ জিম্মায় মুক্তি পেলেন ফরহাদ মজহার

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০১৭, ১৭:৫১ | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৭, ১৮:৫৪

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার নিজের জিম্মায় মুক্তি দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহা. আহসান হাবীব এ আদেশ দেন।

এর আগে একই আদালতের খাসকামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ভিকটিম হিসেবে বেলা ৩টা থেকে প্রায় সোয়া ৫টা পর্যন্ত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন বিচারক। এরপর বেলা সাড়ে ৫টার দিকে খাসকামরা থেকে তাকে এজলাসে আনা হয় জিম্মায় প্রদানের বিষয়ে শুনানির গ্রহণের জন্য।

ওই সময় অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জিম্মার বিষয়ে শুনানির আগে বিচারককে বলেন, কী মামলা আমরা কিছুই জানি না। যদি শুনানির আগে মামলার বিষয়বস্তু একটু পড়ে শোনানো যেত! এরপর বিচারক বলেন, বিস্তারিত বলা তো সম্ভব নয়, তবে মামলার ধারা দণ্ডবিধির ৩৬৫ (অপহরণ) এবং ৩৮৫ (মুক্তিপণ আদায়ের জন্য ভয় দেখানো)। আপনারা যদি জিম্মা চান আমি দিয়ে দেব। এরপর সানাউল্লাহ মিয়া জিম্মা প্রদানের জন্য আবেদন করে শুনানি করেন। শুনানিকালে বিচারক ফরহাদ মজহারকে তিনি তার নিজ জিম্মায় যেতে ইচ্ছুক কি না জানতে চাইলে তিনি ‘হ্যাঁ’ সূচক মাথা নাড়েন। এরপর বিচারক ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় নিজ জিম্মায় প্রদানের আদেশ দেন। আদেশের পর ফরহাদ মজহার নিজেই জিম্মা নামা লিখে তাতে স্বাক্ষর করেন। এরপর বেলা ৬টার দিকে তিনি আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে গাড়িতে করে আদালত অঙ্গন ত্যাগ করেন।

এর আগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে ফরহাদ মজহারকে পুলিশের একটি গাড়িতে করে আদালতে আনা হয়। ওই সময়ই আদালতে ফরহাদ মজহারের স্ত্রী, মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন আদালতে হাজির হন।

আদালতে হাজির করার আগে এদিন বেলা সোয়া একটার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, ফরহাদ মজহারকে কয়েকজন চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। সোমবার ভোরে তিনি নিজের বাড়ি থেকে ওষুধ কিনতে বের হয়েছিলেন। পথে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে সোমবার রাতে উদ্ধারের পর মঙ্গলবার সকাল নয়টার কিছু আগে ফরহাদ মজহারকে প্রথমে রাজধানীর আদাবর থানায় নেয়া হয়। সেখান থেকে বেলা ১১টার দিকে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। এরপর তাকে  নিম্ন আদালতে পাঠানো হয়।

(ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/আরজেড/জেবি)