আবর্জনার শহর ভৈরব

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০১৭, ০৮:৪৪

রাজীবুল হাসান, ভৈরব

কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানের ময়লা-আবর্জনা-উচ্ছিষ্ট ফেলা হচ্ছে রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালতের পাশে। ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রতিদিন টন টন ময়লা যেখানে-সেখানে ফেলছেন। ফলে দুর্গন্ধে পুরো শহর হয়ে উঠছে অস্বস্তিকর, অস্বাস্থ্যকর। পরিবেশ দূষণসহ পচা-আবর্জনা থেকে রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি, ডাম্পিং প্লেস (আবর্জনা ফেলার স্থান) না থাকায় আপাতত তাদের কিছুই করার নেই। তবে ডাম্পিং প্লেসের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

ভৈরব পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, রেল স্টেশন সড়কের আনাচে-কানাচে, রাস্তাঘাট, স্কুল, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যেখানে দৃষ্টি যাবে, সেখানেই চোখে পড়বে ময়লার স্তূপ। আর এখানকার বাসিন্দাসহ জীবনের প্রয়োজনে এই নদীবন্দর ও বাণিজ্য শহরে আসা লোকজনকেও সইতে হচ্ছে এ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি।

এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

শহরবাসীর অভিযোগ, এই ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিনই রাস্তা পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে নাক বন্ধ করে যেতে হয়। দিনদিনই বেড়ে চলেছ মশার উৎপাত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, খোলা স্থানে এই ময়লা-আবর্জনা ফেলায় মশা-মাছিবাহী নানা রোগবালাই বেড়ে গেছে। ডায়রিয়া, আমাশয়, সর্দি-কাঁশিতে আক্রান্ত হচ্ছে লোকজন। এ অবস্থা দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকলে পৌরবাসী দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যহানির কবলে পড়বে।

ভৈরব পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ ঢাকাটাইমসকে জানান, পৌর শহরের অবস্থা নিয়ে তারা খুবই বিব্রতকর অবস্থায় আছেন। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ময়লা ফেলার স্থানের ব্যবস্থা করতে।

মেয়র জানান, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় তিনি ডাম্পিং প্লেসের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর তা পাওয়া গেলে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাবে ভৈরববাসী।

(ঢাকাটাইমস/০৮জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)