নীলফামারী-১ আসনে ২০ দলের মনোনয়ন চান ন্যাপের গানি

প্রকাশ | ০৯ জুলাই ২০১৭, ০৮:০৯ | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৭, ০৯:১০

​বোরহান উদ্দিন, ঢাকাটাইমস

একাদশ সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসন থেকে প্রার্থী হতে চান ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপের একাংশ। দলের নেতা জেবেল রহমান গানি এই মনোনয়ন চাইবেন।

দিন যত যাচ্ছে রাজনীতির মাঠে নির্বাচনী আমেজ তত বাড়ছে। কোন আসন থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন তা নিয়ে নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও নানা আলোচনা চলছে। আগ্রহী প্রার্থীরাও ব্যস্ত নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করতে।

দিন যত যাচ্ছে রাজনীতির মাঠে নির্বাচনী আমেজ তত বাড়ছে। কোন আসন থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন তা নিয়ে নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও নানা আলোচনা চলছে। আগ্রহী প্রার্থীরাও ব্যস্ত নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করতে।

বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনে গেলে জেবেল গানি তার এলাকা নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসন থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন বলে দাবি করেছেন তার দলের নেতারা। আর ইঙ্গিত পেয়ে তিনি নিয়মিত এলাকায় যাওয়া-আসা করছেন। দলের সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী করতে নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখছেন।

রমজানে দলের পক্ষ থেকে এলাকায় একাধিক ইফতার পার্টি করেছেন। ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার করেছেন। চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে দীর্ঘ সময় এলাকায় অবস্থান করবেন তিনি। পাশাপাশি পেশাজীবীদের নিয়েও সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী করা প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

ওই এলাকায় যাদু মিয়ার বেশ জনসমর্থন ও ব্যক্তি যাদু মিয়ার গ্রহণযোগ্যতা ছিল। জেবেল গানির ছেলে যাদু মিয়া বড় ছেলে শফিকুল গানি স্বপনও ওই এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন। ছিলেন সরকারের মন্ত্রীও।

শফিকুল গানির মৃত্যুর পর তার ছেলে জেবেল রহমান গানি গত আট বছর ধরে রাজনীতিতে নিজের ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারছেন বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। শিক্ষিত ও রুচিশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে জোটের ভেতরে বাইরে নিজেকে আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন।

জোটের একটি শরিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘জেবেল গানি জোটের অন্য নেতাদের থেকে আলাদা। তিনি সজ্জন, ভদ্র মানুষ। যে কারণে তাকে নিয়ে কোনো বিতর্কও নেই।’

২০১৪ সালের নির্বাচনে ২০ দল অংশ না নেয়ায় ওই আসনের এমপি ১৪ দলীয় জোটের প্রধান দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আফতাবউদ্দিন আহমেদ। এর আগে এখানকার সংসদ সদস্য ছিলেন জাতীয় পার্টির জাফর ইকবাল সিদ্দিকী। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু দশম সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের জোট ভেঙে গেছে।

এই আসনে কখনো বিএনপি ভালো করতে পারেনি। দলের চেয়ারপারসনের মেজ বোনের ছেলে শাহরিন ইসলাম তুহিন এ আসনে দুইবার নির্বাচন করে হেরেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক।

২০০৮ সালের নির্বাচনে তুহিনের বাবা রফিকুল ইসলাম বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হেরে যান। তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে একেবারেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।

জেবেল রহমান গানি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ন্যাপ একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। আর দল হিসেবে নিবন্ধন রক্ষার স্বার্থে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতেই হবে। আর দলীয় প্রধান হিসেবে তো নিজেকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে পারাটা খুবই দুরূহ। আশা করি জোটের শরিক দলের প্রধান হিসাবে ফলে জোটনেত্রী আমার আসনে ছাড় দেবেন।’

২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশ ন্যাপ জোটভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে জেবেল রহমান গানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এছাড়া গত সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তে তিনি অটল থাকায় ন্যাপ নির্বাচন বয়কট করেছিল। যে কারণে বিএনপি নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে এসব বিষয় বিবেচনায় রাখবে এমন প্রত্যাশা করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন,‘একটা বিষয় অনেকটাই প্রকাশ্য যে, গত নির্বাচনে সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ন্যাপকে নির্বাচনে নেয়ার জন্য অনেক প্রলোভন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু জোটের স্বার্থে সেই নির্বাচন বর্জন করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ। তাই আশা করি বিএনপিও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।’

ঢাকাটাইমস/০৯জুলাই/বিইউ/ডব্লিউবি/জেবি