চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে শতাধিক শিশুরোগী, ওষুধ না পাবার অভিযোগ

প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০১৭, ২১:১৭

শওকত আলী,চাঁদপুর

চাঁদপুরে অত্যাধিক গরম, প্রচুর বৃষ্টিতে ভ্যাঁপসা আবহাওয়ায় শিশুরা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। ফলে অধিকাংশ শিশুর অতিরিক্ত জ্বর, ভাইরাল ফিভার, কাশি, ঠান্ডা, নিমুনিয়া, কনর্ভানশান (খিচুনি)ও টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে ৩৯৭ জন শিশু রোগী  চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এদের মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত ১৮২জন শিশু রোগী হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আছে। বৃহস্পতিবার দিনে ও রাত ৯টা পর্যন্ত ২৫ শিশু রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছে বলে জানান সেবিকা ফাতেমা বেগম।

এ হাসপাতালে চাঁদপুর জেলা ছাড়া ও রায়পুর, লক্ষ্মীপুর ও শরীয়তপুর জেলা থেকে রোগী এসে ভর্তি হচ্ছে।

শুক্রবার বিকালে হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতালে সেবিকাদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, অধিকাংশ শিশুর অতিরিক্ত জ্বর, ভাইরাল ফিভার, কাশি, নিমুনিয়া, ডাইরিয়া, লোটাভাইরাস, বমি, পাতলা পায়খানা, কনর্ভানশান (খিচুনি) রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে  ভর্তি হচ্ছে।

শিশু রোগীর বেডের চাইতে চার গুণ বেশি ভর্তি হওয়ায় তাদের একই বেডে দুজন, ফ্লোরে ও মেঝেতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ হাসপাতালে শিশু রোগীর বেড রয়েছে ৫৮টি। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত রোগী রয়েছে ১৮২ জন। এদের বয়স  ১ মাস থেকে ১০ বছর পর্যন্ত। এ শিশু রোগী ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সেবিকা ফাতেমা বেগম।

তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে সব ওষুধ দেয়া হয় না সত্য। কিছু কিছু ওষুধ কিনতে হয় বাইরে থেকে।

এ সময় রোগীর সাথে থাকা মায়েরা ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত এসব শিশু রোগীকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হচ্ছে না। তারা বাইরে থেকে সব ওষুধ কিনছেন।

হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. আসিবুল আহসান চৌধুরী বলেন, এখন অত্যাধিক গরমের কারণে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। গরমের কারণে মায়েরা ফ্যানের বাতাস পাওয়ার জন্য বেশি জোরে ফ্যান চালান- ফলে শিশুর ঘাম শুকিয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আগামী এক মাস পর শিশুদের এ রোগ কমে যাবে।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)