আল আকসা সংকট নিরসনে বৈঠকে বসবে জাতিসংঘ

প্রকাশ | ২৩ জুলাই ২০১৭, ১০:৪৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে মেটাল ডিটেক্টর বসানো নিয়ে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে টানা সহিংসতার ধারাবাহিকতায় এখন ইসরায়েল কিছুটা সুর নরম করেছে। এদিকে আল-আকসা মসজিদকে ঘিরে সৃষ্ট তীব্র উত্তেজনা প্রশমনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে মিশর, ফ্রান্স ও সুইডেন।

একজন ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।

তিন দেশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানোর পর পূর্ব জেরুজালেম আল-কুদসের চলমান উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামীকাল (সোমবার) রুদ্ধদ্বার কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইডিশ কূটনীতিক কার্ল স্কাউ বলেন, অবিলম্বে জেরুজালেমে উত্তেজনা কমিয়ে আনার উপায় নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের উচিত জরুরি আলোচনায় মিলিত হওয়া।

গত শুক্রবার থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতায় পাঁচজন ফিলিস্তিনি ও তিনজন ইসরায়েলি নিহত হয়। ঘটনার সূত্রপাত্র জেরুজালেমের মুসলিমদের পবিত্র হারাম আল শরীফ বা আল আকসা মসজিদে মেটাল ডিটেক্টর বসানো নিয়ে।

ইসরায়েল বলছে, ওই এলাকায় ফিলিস্তিনিদের হামলায় দুজন ইসরায়েলি পুলিশ নিহত হবার পর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তারা এই মেটাল ডিটেক্টর বসিয়েছে।

স্থানটি ইহুদিদের কাছেও পবিত্র, তাদের কাছে এটি টেম্পল মাউন্ট।

কিন্তু ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাস মনে করেন, নিরাপত্তা ইস্যু নয়, এটি শুধুমাত্র ইসরায়েলিদের নিয়ন্ত্রণ আরোপের একটি কৌশল। ফলে তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করবার সিদ্ধান্ত নেন।

টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে মাহমুদ আব্বাস বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থা বাতিল করা না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সব পর্যায়ে ইসরায়েলিদের সঙ্গে সব রকম যোগাযোগ আমরা বিচ্ছিন্ন করছি।

এই ইলেকট্রনিক গেট বসানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যে উত্তেজনা দানা বেঁধেছিল তার চূড়ান্ত রূপ পায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর। সার্বিক পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি স্থাপনের জন্য ক্ষমতাধর দেশ ও সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত কোয়ারটেট গ্রুপ উদ্বেগ জানানোর পর ইসরায়েল ইঙ্গিত দিচ্ছে তারা এখন নিরাপত্তা বিধানের ভিন্ন কোন পদ্ধতির কথা বিবেচনা করছে।

ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইয়োয়াভ মোরদেচাই বলেন, আমরা আশা করি চলমান সমস্যার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা বিধানের জন্য জর্ডান এবং অন্যান্য আরব জাতিগুলো ভিন্ন কোন সমাধান নিয়ে আসবে। যে কোন সমাধানই হোক, ইসরায়েল সমাধানের জন্য প্রস্তুত। আমাদের নিরাপত্তা সমাধান দরকার, ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক সমাধান নয়।

বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যালান জনস্টন বলছেন, এটা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সুর নরম করার একটি লক্ষণ এবং চলমান ইস্যুতে এই প্রথম তাদের নরম হতে দেখা গেল।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/জেএস)