ফেনী-কুঠিরহাট সড়কে কাদাপানি মাড়িয়ে চলাচল

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০১৭, ১০:৩১

ফেনী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফেনী-কুঠিরহাট সড়কের চার কিলোমিটার সড়কে কাদাপানি মাড়িয়ে চলাচল করছে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের চিন্তারপুল থেকে কুঠিরহাট বাজার পর্যন্ত সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে পানি জমায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফেনী-কুঠিরহাট সড়কটি কয়েকবছর ধরেই বেহাল। সড়কটি দিয়ে সব ধরনের গাড়ি চলাচল করায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে তাকিয়া বাজার, বগাদানা, কাটাখিলা, মান্দারি, বাদুরিয়া, দুর্গাপুর, বড় হালিয়া, আড়কাইম, ইছাপুর, পাইকপাড়া, বদরপুর, বাংলাবাজার, গুনক, বিষ্ণুপুরসহ চর মজলিশপুর, বগাদানা, মঙ্গলকান্দি ও সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন শহরে যাতায়াত করতে হয়। চলাচল স্বান্ছন্দ্য করতে মাঝেমধ্যে অটোরিকশা চালক ও যাত্রীরা টাকা তুলে খোয়া-বালু ছিটিয়ে সড়ক চলাচলের কিছুটা উপযোগী করে। কিন্তু বর্ষা এলেই কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় পুরো সড়ক। অনেক ক্ষেত্রে যানবাহন চলাচলের সময় ছিটিয়ে আসা কাঁদা পানিতে সড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া কর্মস্থলমুখী মানুষ ও স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের পোশাক ভিজে যায়। এছাড়া প্রসূতিসহ মুমূর্ষু রোগীদের ডাকবাংলা হয়ে ৬-৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে শহরে আসতে হয়।

চালকরা জানায়, এ সড়কে আগে প্রায় তিন শতাধিক সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করলেও এখন রাস্তা খারাপ হওয়ায় গাড়ির পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

অটোচালক আবুল কাশেম জানান, এ সড়কে চলাচল করলে প্রতি সপ্তাহে গাড়ি গ্যারেজে নিতে হয়। ফেনী থেকে কুঠিরহাট যেতে ৩০ মিনিটের পথ যেতে এখন সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। এসব কারণে অনেকে সড়কটিতে গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে।

কুঠিরহাট বনিক সমিতির সভাপতি ডা. নুর নবী জানান, ব্যবসায়ীদের মালবাহী কোনো গাড়ি কুঠিরহাট বাজারে আসতে চায় না। তাই অনেক ব্যবসায়ীকে পিকআপ কিংবা ভ্যান গাড়িতে করে মালামাল আনতে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হয়।

চরমজলিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হোসেন জানান, ফেনী-কুঠিরহাট সড়কের বেহাল দশার বিষয়ে উপজেলা উন্নয়ন সভায় অবহিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সোনাগাজী উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তফা মিনহাজ ঢাকাটাইমসকে জানান, রাস্তাটি সংস্কার করতে প্রকল্প বরাদ্দের জন্য স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এমআর