ধর্ষণের শিকার বালিকাটির ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০১৭, ১৮:৩৬ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৭, ১৮:৩৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইম
প্রতীকী ছবি

ভারতে নিকটাত্মীয় কর্তৃক ধর্ষণের ফলে সাত মাসের গর্ভবতী একটি ১০ বছরের মেয়ে নিরাপদে সন্তানটির জন্ম দিতে পারবে কিনা - তা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। খবর বিবিসির।

অভিযোগে বলা হয়, মেয়েটির মামা তাকে গত সাত মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তবে ব্যাপারটি জানা গেছে মাত্র কিছু দিন আগে।

মেয়েটি পেট ব্যথার অভিযোগ করলে তার বাবা-মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তখনই তার অন্তঃসত্ত্বা হবার কথা জানা যায়। তার মামাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে পাঞ্জাবের একটি আদালত মেয়েটির গর্ভপাত ঘটানোর অনুমতি দিতে অস্বীকার করে।

এখন সর্বোচ্চ আদালত এক রায়ে বলেছে, সন্তান জন্ম দিতে গেলে মেয়েটির জীবনের প্রতি ঝুঁকি দেখা দেবে কিনা তা যেন ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখেন।

ভারতের আইনে গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পার হয়ে যাবার পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ।

ডাক্তাররা এর আগে বলেছিলেন মেয়েটির শারীরিক বৃদ্ধি এখনো সন্তান জন্মদানের উপযুক্ত হয়নি। একজন আইনজীবী বলেছেন, এমনকি সিজারিয়ান সেকশন করাতে গেলেও তার মৃত্যু হতে পারে।

তিনি বলেন, মেয়েটি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের, এবং সে যে গর্ভবতী। এর মানে কি - তা এখনো বোঝে না।

মে মাসে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে একই ধরনের একটি ঘটনার কথা জানা যায়। অভিযোগ ওঠে, একটি ১০ বছরের মেয়েকে তার সৎ বাবা ধর্ষণ করার ফলে সে গর্ভবতী হয়। এর পর পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাকে গর্ভপাত করার অনুমতি দেয় একটি আদালত।

ভারতে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুর সংখ্যা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এক পরিসংখ্যান দেখা যায়, ভারতে প্রতি ১৫৫ মিনিটে একটি করে অনুর্ধ্ব-১৬ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। প্রতি ১৩ ঘন্টায় একটি ১০ বছরের কমবয়সী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।এরমধ্যে ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যৌন নির্যাতনকারী তার পরিচিত বা অভিভাবক শ্রেণীর।

ভারতে ২০১৫ সালে ১০ হাজারের বেশি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। আঠারো বছর বয়েস হবার আগে বিয়ে হয়েছে এমন মেয়ের সংখ্যা ২৪ কোটি।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এসআই)