কুমিল্লা বোর্ডে ফল বিপর্যয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি

প্রকাশ | ২৫ জুলাই ২০১৭, ২২:১৯ | আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৭, ২২:৫৬

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

এইচএসসিতে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল বিপর্যয়ের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিপর্যয় হয়েছে এমন ২০১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা জেলা কলেজ পরিদর্শক মো. জামাল নাছেরকে আহবায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- কুমিল্লা জেলা উপ-কলেজ পরিদর্শক বিজন কুমার চক্রবর্তী এবং উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. হাবিবুর রহমান।

কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রির্পোট দিতে বলা হয়েছে।


এ বছর কুমিল্লার বোর্ডের অধীন ৬ জেলার ৩৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১লাখ ৩৭২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন মাত্র ৪৯ হাজার ৭০৪ জন। গড় পাসের হার ছিল ৪৯.৫২ শতাংশ।

মঙ্গলবার বোর্ড কর্তৃপক্ষ ফলাফল পর্যালোচনায় ৪৯.৫২ শতাংশের নিচে ফেল করা ২০১টি প্রতিষ্ঠানকে চিহিৃত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণ এবং ভবিষ্যতে ফলাফল ভালো করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিকট থেকে পরামর্শ চেয়ে ওই চিঠি দেয়া হচ্ছে বলে বোর্ড সূত্র জানিয়েছে।
জেলাওয়ালি ফলাফল খারাপ করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হচ্ছে, কুমিল্লায় ৮৯টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৩, লহ্মীপুরে ১৭, চাঁদপুরে ২৬, ফেনীতে ২২ এবং নোয়াখালী জেলায় ২৪টি।

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক জানান, ২০১৭ সালের প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফলে এবার কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পাস করে ৪৯.৫২ শতাংশ। এই ফলাফলের চেয়ে যে সব প্রতিষ্ঠান বোর্ডের গড় পাসের চেয়ে ফলাফল খারাপ করেছে তাদের চিঠি দিয়ে ফলাফল খারাপ করার কারণ এবং ভবিষ্যতে এ সমস্যা থেকে উত্তোরণের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণ কিংবা ভালো ফলাফলের জন্য যেসব পরামর্শ আসবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে বোর্ড সভা করে শিক্ষার মানোন্নয়নে করনীয়তা নির্ধারণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর যাবৎ কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় এ বছরও এইচএসসি পরীক্ষায় দেখা যায়। এবছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে মোট ফেল করা ৫০.৪৮ শতাংশ পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু মাত্র ইংরেজি বিষয়ে ৩৭.৯৪ শতাংশ পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/প্রতিনিধি/ইএস)