ঢাবির বিশেষ সিনেট অধিবেশন আয়োজনে বাধা নেই

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০১৭, ১৬:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য প্যানেল মনোয়নের জন্য ২৯ জুলাই ডাকা সিনেটের বিশেষ অধিবেশনের ওপর  হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৩০ জুলাই দিন ধার্য করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন আদালত। এই আদেশের ফলে বিশেষ এ সিনেট অধিবেশনে আয়োজনে আইনগত কোনো বাধা রইল না।

বুধবার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এই আদেশ দেন। আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন।

দুই দিন আগে গত ২৪ জুলাই ঢাবির উপাচার্য প্যানেল মনোয়নের জন্য ২৯ জুলাই ডাকা সিনেটের বিশেষ  অধিবেশনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুলও দিয়েছেন আদালত।

রুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ ১৯৭৩ সালে ২০ (১) ধারা অনুযায়ী সিনেট গঠন না করে ২৯ জুলাই ডাকা সভা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।

সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের আগে উপাচার্য প্যানেলের নির্বাচন দেয়ায় অধিবেশন ডাকায় গত রবিবার ঢাবির শিক্ষকসহ রেজিস্ট্রার গ্র্যাজুয়েটে ১৫ জন হাইকোর্টে রিটটি করেন।

ঢাবির বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ আগস্ট। ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি উপাচার্য হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ আট বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। আগামী ২৯ জুলাই পরবর্তী ভিসি নিয়োগে তিন সদস্যের প্যানেল মনোনয়নে সিনেটের এ বিশেষ অধিবেশনটি ডাকা হয়েছিল।

গত ১৬ জুলাই ঢাবির রেজিস্ট্রার একটি চিঠি দেন সিনেট সভার জন্য। যাতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ আর ২১ (২) ধারার অর্পিত ক্ষমতাবলে উপাচার্য ২৯ জুলাই বিকাল চারটায় সিনেটের বিশেষ সভা আহ্বান করেছেন। উক্ত বিশেষ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩, ১১ (১) ধারা অনুযায়ী আচার্য কর্তৃক উপাচার্য নিয়োগের জন্য তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হবে। উপাচার্যের প্যানেলে যাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রস্তাব করা হবে, নাম প্রস্তাবকালে তাদের লিখিত সম্মতি সিনেট চেয়ারম্যানের নিকট পেশ করতে হবে।

ডিএজি আমাতুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, আবেদনকারীদের দাবি রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েটের অনেক প্রতিনিধির পদ খালি। তাই এ নির্বাচন না দিয়ে সিনেট সভা ডেকে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন করা ঠিক নয়। এ কারণে ১৬ জুলাইয়ের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৫ জন হাইকোর্ট রিট করেন।

রিটকারীরা হলেন- বরিশালের আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ খান, অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাচার, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম, অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল আলম খান, ঢাকার একেএম আতিকুর রহমান, ফরিদপুরের ড. আব্দুল জব্বার মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক মো. হুয়ায়ুন কবির।

ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/এমএবি/এমআর