বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি: বাচ্চুর বিষয়ে প্রতিবেদন চায় হাইকোর্ট

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০১৭, ১৭:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দুর্নীতি অভিযোগ নিয়ে আলোচিত বেসিক ব্যাংকের ৪০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির মামলায় ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চু ও পরিচালনা পর্ষদে জড়িত সদস্যদের আইনের আওতায় এনে আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ মামলায় এক আসামির জামিন আবেদনের বিরুদ্ধে করা দুদকের রিভিশন আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। আসামিপক্ষে ছিলেণ পঙ্কজ কুণ্ড। 

মামুন মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৫ সালে মামলা হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মামলাটির তদন্ত শেষ না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছে আদালত। তাছাড়া যারা ঋণ অনুমোদ দিয়েছে তাদের কাউকেই এ মামলায় আসামি করা হয়নি। তাই বেসিক ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যদের আইনের আওতায় এনে আদেশ পাওয়ার ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।

তিনি জানান, মামলাটি গত দুই বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় এ মামলার আসামি শাহজাহান আলীর জামিন বহাল রেখেছেন আদালত।

দুদকের এ আইনজীবী জানান, ২০১০ সালের ২ নভেম্বর ক্রেডিট কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদ সৈয়দ ট্রেডার্স ম্যানেজিং পার্টনার সৈয়দ মাহবুবুল গনিকে ৪০ কোটি টাকা ঋণের অনুমোদন দেয়। ব্যাংকের শান্তিনগর শাখা থেকে এ ঋণ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঋণ গ্রহিতা সৈয়দ মাহবুবুল গনি, রূপসা সার্ভেয়ার কোম্পানির চিফ সার্ভেয়ার শাহজাহান আলীসহ ৯ জনকে আসামি করে এ মামলা করা হয়।

মামলার নথি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে ২১ সেপ্টেম্বর বেসিক ব্যাংকে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় রাজধানীর তিন থানায় ১৮টি মামলা করে দুদক। গুলশান থানায় আটটি, মতিঝিল ও পল্টন থানায় পাঁচটি করে মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় বেসিক ব্যাংকের সাড়ে ছয়শ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। মামলায় সর্বমোট আসামির সংখ্যা ১৫৩ জন। তবে একাধিক মামলার আসামি রয়েছেন অনেকে।

বেশির ভাগ মামলাতেই অভিযুক্ত হয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফখরুল ইসলাম। এ ছাড়া ১৮টি কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ব্যাংকটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অভিযুক্ত হয়েছেন। তবে এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর নাম ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হলেও কোনো মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/এমএবি/২৬ জুলাই/এমএবি/জেডএ)