মজিদের শিকলবন্দি জীবনের অবসান
প্রকাশ | ২৮ জুলাই ২০১৭, ২৩:৩৫
হবিগঞ্জ শহরতলীর বহুলা গ্রামের পয়ত্রিশোর্ধ আব্দুল মজিদকে শিকলবন্দি থেকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াছিনুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বর্তমানে মজিদ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের কেবিনে ভর্তি রয়েছেন। মজিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য গঠন করা হয়েছে একটি তহবিল। ওই তহবিলের টাকা দিয়ে মানসিক ভারসাম্য অঅব্দুল মজিদের চিকিৎসা ও বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে।
ওসি ইয়াছিনুল হক স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে শিকলবন্দি আব্দুল মজিদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নেন। পাশাপাশি চিকিৎসার পর তার পুনর্বাসনের জন্য একটি ফান্ড গঠন করেন। এখানে বিভিন্ন লোকজন আর্থিক সহায়তা করছেন।
ওসি ইয়াছিনুল হক জানান, ওই ফান্ডে এক লাখ টাকা জমা হয়েছে। মজিদের চিকিৎসা শেষে অবশিষ্ট টাকা দিয়ে ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। এর জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এর সদস্যরা হলেন হেলাল আহমেদ, কুদরত আলী ও লাল মিয়া। তারা এ বিষয়ে তদারকি করবেন।
আব্দুল মজিদ পাগল নয়, সম্পত্তির লোভে তার ভাই আব্দুল হামিদ পাগল সাজিয়ে শিকলবন্দি করে রেখেছে বলে জানান মজিদ ও তার স্ত্রী। প্রতিবেশী অনেকেই জানান, মজিদ পাগল নয়, পাগল সাজানো হয়েছে। তবে আব্দুল হামিদ তাদের বক্তব্য অস্বীকার করেছেন।
আব্দুল মজিদের স্ত্রী হালেমা খাতুন জানান, সম্পত্তির লোভে ভাসুর আব্দুল হামিদ তার স্বামীকে শিকলবন্দি করে পাগল সাজিয়েছেন। খাবার না দিয়ে রাতদিন মারধোর করতেন। সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। দুই সন্তানকে নিয়ে এখন তিনি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/প্রতিনিধি/জেডএ)