বগুড়া ধর্ষণ: মাসহ মহিলা কাউন্সিলর রুমকি গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ৩০ জুলাই ২০১৭, ২১:৩৭ | আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৭, ২১:৪২

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বগুড়ায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার কর্তৃক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা পর বিচারের নামে নির্যাতনের অভিযোগে পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর রুমকি ও তার মা রুমি বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পাবনার একটি বাড়ি থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। তারা বর্তমানে বগুড়া সদর থানায় পুলিশের হেফাজতে আছেন।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন  গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  
এর আগে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার তুফান ও তার দুই সহযোগীকে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

গত ১৭ জুলাই শহর শ্রমিক লীগের সভাপতি তুফান সরকার কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে বাসায় ডেকে নেয়। এরপর দিনভর তাকে আটকে রেখে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনাটি ওই কিশোরীর মা জানতে পারে এবং বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে তুফান সরকারের স্ত্রীর কানে যায়।

এরপর শুক্রবার বিকেলে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা খাতুন তার বড় বোন পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের  নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি এবং তার মা রুমী বেগম ওই ধর্ষিতা ও তার মাকে বিচারের নামে ডেকে নিয়ে  অমানবিক নির্যাতন চালায়। পরে তাদের দুজনের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তারা।

এরপর ২০ মিনিটের মধ্যে বগুড়া শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যেতে রিকশায় তুলে দেয়া হয় মা-মেয়েকে।
আহত মা-মেয়ে চিকিৎসার জন্য বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে ঘটনা জানতে পারে পুলিশ। পরে ওই দিন রাতেই তুফানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকে রুমকি ও তার মা পলাতক ছিলেন।
এদিকে ধর্ষণ ঘটনায় আজ তুফানকে শ্রমিক দল থেকে বহিষ্কার করে সংগঠনটি।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/মোআ)