খাবারের লোভ দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ, পরে হত্যা

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০১৭, ১৫:৪০ | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৭, ১৭:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর বাড্ডায় টয়লেট থেকে যে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।

সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।

গতকাল রবিবার বাড্ডা এলাকায় চার বছরের শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় শিপন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের একটি দল। আলামত হিসেবে শিপনের বাসা থেকে জব্দ করা হয় রক্তমাখা তোয়ালে।

সংবাদ সম্মেলন আব্দুল বাতেন বলেন, বাড্ডার আদর্শনগরের মিনহাজের বাসায় বাবা-মার সঙ্গে থাকতো শিশুটি। রবিবার পার্শ্ববর্তী আমিন সাহেবের বাসায় জাহেদা আক্তার কলি নামে নতুন ভাড়াটিয়া আসে। শিশুটি জাহেদাকে আন্টি ডাকে এবং তার বাসায় যায়। গ্রেপ্তার শিপনের স্ত্রীসহ ওই বাসার অন্য একটি রুমে ভাড়া থাকে।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বলেন, শিপন ডাকাতি মামলায় পাঁচ বছর জেল খেটে আসার পর দিনমজুরের কাজ করে। তার স্ত্রী একজন গার্মেন্টসকর্মী। রবিবার বিকাল পাঁচটায় শিশুটি আন্টি জাহেদার নতুন বাসা থেকে শিপনের ঘরের সামনে দিয়ে নিজেদের ঘরে ফিরছিল। তখন খাবারের লোভ দেখিয়ে শিপন শিশুটিকে টান দিয়ে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। চিৎকার দিলে শিপন শিশুটিকে গলাটিপে হত্যার করে মরদেহ বাসার টয়লেটে ফেলে দেয়। পরে রক্তভেজা চাদর, তার গায়ের গেঞ্জি ও পড়নের লুঙ্গি বালতিতে ভিজিয়ে রাখে।

উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার বাড্ডার আদর্শনগরী এলাকার ৩৬০ নম্বর বাসার বাথরুম থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির বাবার নাম মেহেদী একজন প্রাইভেটকার চালক। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। যে বাসায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে শিশুটির পরিবার ওই বাসাতেই থাকতেন।

ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/এএ/এমআর