আস্থার সম্পর্ক গড়তে ইসিকে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০১৭, ১৭:০১ | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৭, ১৭:১১

তারেক শামসুর রেহমান

আজকের আলোচনায় নির্বাচনী সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা তেমন একটা হয়নি। সম্ভবত একজন আলোচনার সূত্রপাত করেছিলেন, কিন্তু এর ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছিল যে এটা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পর্কিত না। ফলে এটা হয়নি।

তবে একটা বিষয় খুব আলোচনা হয়েছে, সেটা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রসঙ্গটি নিয়ে। এখানে একটি বড় অংশ আমরা দেখলাম, সবাই পাচ্ছেন যে নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন করাটা উচিত। আবার এর বিরোধিতাও দেখেছি, দুই একজন এর বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু ম্যাক্সিমাম দেখলাম সবাই এটার পক্ষে কথা বলেছেন। তারা বলার চেষ্টা করেছেন যে, নির্বাচনে যদি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা না হয় তাহলে নির্বাচনটা হয়ত সুষ্ঠু হবে না।

এর বাইরে কিছু কিছু প্রশ্ন এসেছে যে, নির্বাচনী ব্যয়গুলো কীভাবে করা, ব্যয় নির্বাহটা কন্ট্রোল করা দরকার। যেটা মূল বিষয় এসেছে, সেটা হলো একটা আস্থার সম্পর্ক গড়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অত্যন্ত শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে। নির্বাচন কমিশন যদি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সম্পর্ক তৈরি না করে তাহলে এই নির্বাচন ২০১৪ সালের মত নির্বাচন হবে এবং ভাল নির্বাচন হবে না। ফলে এটাকে গুরুত্ব দিয়েছেন।

একটা জিনিস আমি দেখলাম যে, সিইসি কোনো বিষয়ই খণ্ডন করেননি। কোনো আর্গুমেন্ট তিনি খণ্ডন করেননি। নির্বাচন কমিশনাররাও কোনো আর্গুমেন্ট খণ্ডন করেননি। প্রতিটি আর্গুমেন্ট তারা নোট করেছেন এবং তারা যেটা বলার চেষ্টা করেছেন যে, আমরা প্রতিটি সাজেশন লিপিবদ্ধ করব, এবং লিপিবদ্ধ করে আমরা বুকলেট আকারে প্রয়োজনে আপনাদের কাছে দেবো, প্রয়োজনে সরকারের কাছে আমরা দেবো।

আমি মনে করি যে, আজকে আমাদের সাথে সংলাপের ফলে অন্তত একটা জিনিস আমার কাছে মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে, আল্টিমেটলি কতটুকু হবে আমি জানি না। এই সংলাপের মূল বিষয় সেটা বেরিয়ে এসেছে, কয়েকটি পয়েন্ট, সেগুলো তারা নোটডাউন করেছেন এবং কগনিজ্যান্সিতে নেবেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন। এখন দেখা যাক ভবিষ্যতে তারা কোন পর্যায়ে যেতে পারে।

আমরা চাই একটা ভাল নির্বাচন হোক। আমি নিজেও একটা বলেছি যে, যদি নির্বাচন কমিশন এবার ফেল করে, তাহলে আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। ফলে নির্বাচন কমিশনের জন্য একটা গুরুত্বপূরণ সময় এবং নির্বাচন কমিশন নিশ্চয় এটা উপলব্ধি করে এবং আমার ধারণা নির্বাচন কমিশন বিষয়গুলোকে খুব সিরিয়াসলি নেবে এবং আইনগতভাবে যেটা করা দরকার, সেটাই তারা করবে।

সহায়ক সরকারের প্রস্তাব নিয়ে আমি কোনো প্রস্তাব করিনি, কেউই করেনি। কারণ, আইনে এখানে নির্বাচন কমিশনের করার কিছু নেই। নির্বাচন কমিশনের আওতাবহির্ভুত এটা। তবে আলোচনায় পরোক্ষভাবে এটা এসেছে যে, সহায়ক সরকারের যে রোলটা, সেটা নির্বাচন কমিশন পালন করতে পারে।

অধ্যাপক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়