শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট বি‌ধিমালা তৈরির নির্দেশ

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০১৭, ১৬:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ফৌজদারি ও দেওয়ানি কার্যবিধির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন (বি‌ধিমালা)  তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক বছরের মধ্যে এই বিধি প্রণয়ন করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে শিক্ষাসহ চার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।

জনস্বার্থে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আ‌দেশ দেন।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম নুরুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন মহিম। ২০১২ সালে এ বি এম নুরুল ইসলাম নিজে রিট আবেদনটি করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

এ বি এম নুরুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, শিক্ষাসংক্রান্ত এ পর্যন্ত সাতটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। ওই সব কমিশনের পক্ষ থেকে দেয়া একটি প্রতিবেদনও কার্যকর হয়নি। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল আইনের ওপর চলছে। ফলে শিক্ষাক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী বলেন, ‘আমি ৬০ বছর ধরে আইন পেশায় নিয়োজিত আছি। ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। আমার সারা জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে এই রিট আবেদনটি করেছি। দেওয়ানি ও ফৌজদারি কার্যবিধির মতো শিক্ষাসংক্রান্ত একটি আইন করার জন্য রিটে আর্জি জানানো হয়েছে।’

রিটে ১৮টি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে জানিয়ে এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, সব কটি পয়েন্ট বিবেচনা করে আগামী এক বছরের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করে আগামী এক বছরের মধ্যে আইন (কোড) প্রণয়নের জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলেছেন। 

শিক্ষাসংক্রান্ত একটি আইন তৈরি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে আদালতকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর শুনানি শেষে আদালত সরকারের প্রক্রিয়াধীন কোডটি এক বছরের মধ্যে প্রণয়নের নির্দেশ দেন।

 (ঢাকাটাইমস/২আগস্ট/এমএবি/মোআ)