রেলের ওয়েটিং রুমে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৭, ১৩:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নিজ এলাকা রাজশাহীতে যাবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। যাত্রা পথের বাহন হিসেবে তার খুব পছন্দ ট্রেন। আর রাজধানীর বিমানবন্দর স্টেশন থেকে এই যাত্রা শুরু করেন তিনি। কিন্তু তাকে ফিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা এই ট্রেন যাত্রা নিয়ে নয়। কথা হচ্ছে যাত্রা শুরুর আগে ওয়েটিং রুমে তার অপেক্ষা নিয়ে।

ট্রেন ছাড়বে রাত সাড়ে ১১টায়। প্রতিমন্ত্রী স্টেশনে এসেছেন তারও বেশ কিছুক্ষণ আগে। কিছুটা সময় প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকার পর গেলেন ওয়েটিং রুমে। সেখানকার দুটি লম্বা সোফায় তখন খালি বলতে একটি আসন। প্রতিমন্ত্রীকে দেখে তাকে সম্মান জানিয়ে তাকে আরামে বসতে আসন ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন অন্য যাত্রীরা। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালেন শাহরিয়ার আলম স্বয়ং। সোফায় দুই জন বসেছিলেন। তার পাশে দিয়ে বসলেন প্রতিমন্ত্রী। 

প্রতিমন্ত্রীর ওয়েটিং রুমে অপেক্ষার এই ছবি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে। ছবিগুলো প্রথম পোস্ট করেছিলেন তার সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। তিনি এতে লেখেন, ‘এয়ারপোর্ট রেলস্টেশনের 'ওয়েটিং রুম'। সিট ছেড়ে কাউকেই উঠতে দিলেন না, চাপাচাপি করে বসে পড়লেন যাত্রীদের সাথেই!’

সিরাজুল ইসলামের পোস্ট করা ছবিতে সাধাসিধে পোশাকের শাহরিয়ার আলমকে ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করা ছাড়াও প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়।

সিরাজুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ওনি (শাহরিয়ার আলম) রাজশাহীতে যাতায়াতে ট্রেনেই কমফোর্ট ফিল করেন। কালও তিনি পদ্মা এক্সপ্রেসে করে এসেছেন। স্টেশনে একটু আগেভাগেই চলে আসার পর তিনি ওয়েটিং রুমে যান। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে।’

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ওনি এমনই মানুষ। তিনি ক্ষমতার বড়াই করতে পছন্দ করেন না, দাপট দেখাতে চান না। তিনি মনে করেন, আর দশটা মানুষের সঙ্গে তার কোনো পার্থক্য নেই। তাই তিনি যেটার যোগ্য, তার বাইরে তিনি কিছু নিতে চান না।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব জানান, প্রতিমন্ত্রীকে দেখে অন্যরা উঠে গিয়ে তার জন্য জায়গা করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনিই তাদেরকে নিষেধ করেছেন।

এনটিভির সাংবাদিক আরাফাত সিদ্দিক এই ছবি তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে লেখেন, ‘আমি যখন ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে মো. শাহরিয়ার আলমের সাথে প্রথম দেখা করি, তখনই বুঝেছিলাম আমাদের দেশের রাজনীতিতে এই ধরণের মানুষের চাহিদা হবে সর্বাধিক।’

এই পোস্টের নিচে আবার আরাফাত রুবেল নামে একজন কমেন্ট করেন, ‘গত টার্মে উনি যখন এমপি ছিলেন তখন একবার রহমানিয়া হোটেলে খেতে গিয়ে ওনাকে পাশে পেয়েছিলাম.... তখনও ঠিক এমন অবস্থা হয়েছিল, ভিড়ের মাঝে জনাব, শাহারিয়ার অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু আফসোস! তখন আমার সেলফি মোবাইল ছিল না।’

মোহাম্মদ হাসান লেখেন, ‘এই মানুষটা অনেক ভালো, আমার পছন্দের একজন মানুষ।’

ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/বিইউ/ডব্লিউবি