মুক্তামনির চিকিৎসকদের প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০১৭, ১৭:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

অস্ত্রোপচারের আগে চিকিৎসকদের আশঙ্কা ছিলো আক্রান্ত হাত কেটে ফেলতে হতে পারে সাতক্ষীরার মুক্তামনির। কিন্তু হাত অক্ষত রেখেই সফলভাবে শনিবার অস্ত্রোপচার শেষ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু মুক্তামনিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। তার চিকিৎসার দায়িত্বও নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যে কারণে সফল অস্ত্রোপচার  সম্পন্ন করার খবর শুনে চিকিৎসকদের ধন্যবাদ বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার সকালে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের দ্বিতীয় তলার অপারেশন থিয়েটারে মুক্তার অস্ত্রোপচার শুরু হয়। অস্ত্রোপচার শেষে সাংবাদিকদের সফল হওয়ার কথা জানান জাতীয় বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

পরে তিনি জানান, মুক্তার অস্ত্রোপচারের সংশ্লিষ্ট পুরো টিমকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন,অপারেশনে সফলতা দেখানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী খুব খুশি হয়েছেন। ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি।

মুক্তার অস্ত্রোপচারের সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জুলফিকার লেলিন।এর আগে গত ১৩ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে মুক্তাকে দেখে এসেছিলেন ডা. জুলফিকার আলী লেলিন। সেদিন তিনি মুক্তাকে বলেছিলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করি। তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তোমার চিকিৎসার জন্য। তোমার ভয় নেই। তুমি ভালো হয়ে যাবে।’

 

ডা. সামন্ত লাল বলেন, মুক্তার হাত রক্ষা করে মাংস কেটে ফেলা সম্ভব হয়েছে। তার হাত ঠিক আছে।

অপারেশন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বার্ন ইউনিটের প্রধান ও মুক্তামনির চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল টিমের প্রধান অধ্যাপক আবুল কালাম বলেন, অপারেশন থেকে পোস্ট অপারেটিভ (অপারেশন পরবর্তী) অবস্থা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাকে পাঁচ-ছয় সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হবে। অপারেশনের পর তার রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন,এটি মুক্তার প্রথম অপারেশন ছিল,তার আরও বেশ কয়েকটি অপারেশন লাগবে। প্রতি সপ্তাহে একটা করে অপারেশন করা হবে। আপাতত তার হাতের টিউমারের সবটুকু মাংস কাটা হয়েছে। বুক ও ঘাড়ে এখনও রোগটি আছে। সেগুলো আস্তে আস্তে চিকিৎসা করা হবে।

মুক্তাকে ঝুঁকিমুক্ত কখনোই বলা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে আজকের অপারেশনের কারণে ঝুঁকি আগের থেকে অনেকটা কমে গেছে।

অপারেশন সফল করতে ওয়ার্ডবয় থেকে প্রফেসর পর্যন্ত সবার অবদান ছিল বলেও জানান আবুল কালাম।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/বিইউ/জেডএ)