হজযাত্রার বিশৃঙ্খলায় দায়ী এজেন্সি: বিমানমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৭, ২০:৫৩ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০১৭, ২১:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

হজযাত্রায় বিশৃঙ্খলার জন্য আবারো এজেন্সিগুলোকে দায়ী করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বলেছেন, ভিসা হয়েছে এমন হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠানোর দায়িত্ব হজ এজেন্সিগুলোকেই নিতে হবে।

মন্ত্রী জানান, এখনো প্রায় ১৫ হাজার হজযাত্রীর ভিসার জন্য পাসপোর্ট হজ অফিসে জমা হয়নি। ১৬টি এজেন্সি এখনো একজন হজযাত্রীও পরিবহন করেনি।

সোমবার রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানের প্রধান কার্যালয়ে হজসংক্রান্ত জরুরি এক সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মেনন বলেন, অন্যদিকে অভিযোগ এসেছে অনেক হজ এজেন্সি হাজিদের বাড়ি ভাড়া করেছে ২০ আগস্টের পর। এটি সত্যি হলে ২০ আগস্টের পর যে চাপ তৈরি হবে তা সামাল দিতে প্রয়োজনীয় এয়ারক্র্যাফট পাওয়া যেমন দুষ্কর হবে তেমনি অতিরিক্ত স্পটও পাওয়া যাবে না।

মন্ত্রী বলেন, স্বাচ্ছন্দে ও নির্বিঘ্নে হজ পালনের ব্যবস্থা করতে সর্বাত্মক প্রয়াস গ্রহণ করেছে সরকার। কারো গাফিলতি, অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অসহযোগিতায় এ কার্যক্রম বিঘ্নিত হলে তা বরদাশত করা হবে না, এজন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মেনন বলেন, হজযাত্রীর অভাবে ইতোমধ্যে বিমানের ২২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, যা বিমানকে আর্থিক ক্ষতি ও ইমেজ সংকটের মুখোমুখি করেছে। এর দায় বিমানের ছিল না। তবুও ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ার হিসেবে হজযাত্রীদের পরিবহন নিশ্চিত করতে বিমান প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, এজন্য হজ ফ্লাইটের সময়সীমা ২৬ আগস্ট থেকে বাড়িয়ে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত করতে 'জেনারেল অথরিটি অফ সিভিল এভিয়েশন, সৌদি আরবের' প্রতি অনুরোধপত্র পাঠানো হবে। নতুন পাওয়া ১৪টি স্পটের অতিরিক্ত আরও সাতটি স্পট পরিচালনা করতে আগস্ট থেকে বিমানের আবুধাবীর দুটি, ব্যাংককের তিনটি, দোহার পাঁচটি, দুবাইয়ের একটি কাঠমুন্ডুর দুটি, কুয়ালালামপুরের একটি, লন্ডনের তিনটি, মাস্কাটের একটি, রিয়াদের তিনটি এবং দাম্মামের দুটি ফ্লাইট বাতিল অথবা কমিয়ে আনা হবে।

মালয়েশিয়া থেকে লিজকৃত একটি এয়ারক্রাফট ২০ আগস্ট থেকে হজ পরিবহন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভায় জানানো হয়, এ বছর বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের ৬২ হাজার ৫৪৭ জন ইতোমধ্যে সৌদি গমন করেছেন। যার মধ্যে বিমান ২৯ হাজার ৩৭৩ জন এবং সৌদিয়া ৩৩ হাজার ১৩৫ জন হজযাত্রী বহন করেছে।

সভায় বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফারুক, বিমান বোর্ডের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) এনামুল বারী, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম জিয়াউল হক, বিমানের এমডি মোসাদ্দেক আহমেদ ও হজ ক্যাম্পের পরিচালক সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/জেবি)