তারেকের ছবি সরিয়ে ফেলতে বিএনপিকে জাফরুল্লাহর পরামর্শ

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৭, ১৬:২৭ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৭, ২১:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বিএনপির দলীয় কার্যালয় এবং পোস্টার থেকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন বুদ্ধিজীবী জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে পরিচিত এই ব্যক্তি তারেকের ছবি পাল্টে তার বদলে ন্যাপের প্রয়াত সভাপতি মাওলানা ভাসানীর ছবি সংযোজনের পরামর্শ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনায় এই পরামর্শ দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়: অনাকাংখিত বিতর্ক ও বাংলাদেশর রাজনীতি’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি।

‘রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র থাকা উচিত নয়’ এমন মন্তব্য করে বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে পরিবারতন্ত্র বিদায় করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপিকে পরামর্শ দেব একটা ছবি সরিয়ে ফেলতে। আমি তারেককে অত্যন্ত স্নেহ করি, তারেকের ছবিটা সরিয়ে নিয়ে সেখানে যেন ভাসানীর ছবি সংযুক্ত করে।’

 

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে অন্ধকারের মধ্যে আলো হিসেবে বর্ণনা করেন জাফরুল্লাহ। এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী রায়ে সাত জন বিবেকবান বিচারক কেন আলো জ্বালালেন। সত্য কথা বললে শাসক গোষ্ঠীর মাথা ঘুরে যায়। তারা সত্যটাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না।’

এই রায়ের সমালোচনায় আওয়ামী লীগের অভিযোগ, প্রধান বিচারপতি বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করেছেন। এর জবাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘পর্যযবেক্ষণ নিয়ে তারা যা বলছে, বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে কি বলতেন দেশ স্বাধীন একা করেছি? না, তিনি বলতেন সবাই মিলেই এই দেশ স্বাধীন করেছি। সেই সত্যটাই সিনহা সাহেব বলেছেন।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হলেই চলবে না। বিচারকদেরও স্বাধীন হতে হবে। প্রধান বিচারপতি সিনহা সাহেবসহ কেউ তাদের সম্পদের হিসাব দেন নাই। তাদের সম্পদের হিসাব দিলে তারা সে সাহসী, তারা আরও  সাহসী হবে।’

ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের সমালোচনা করে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কি না সেটা খতিয়ে দেখারও তাগিদ দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

জাফরুল্লাহ বলেন, বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিম্ন আদালতের বিচারকরা যেন ৫০% উচ্চ আদালতে আসতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে পারলে আরও  ভালো হয়।

ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/জিএম/ডব্লিউবি