সবাই যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৭, ১৮:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দিনাজপুরের বিরলবাসীর পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নিজে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। বলেছেন, আরও ত্রাণ যাবে, বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না। সবার জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাবে।

রবিবার দুপুরে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার তেঘড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে বন্যা, দুর্যোগ থাকবে। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে। একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না এবং না খেয়ে মারা যাবে না। সবাইকে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে। আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।’

উত্তরবঙ্গ থেকে আওয়ামী লীগের মঙ্গা দূর করার দাবি করে করে শেখ হাসিনা বলেন, উত্তরবঙ্গে ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার ছিল। হাহাকার লেগেই থাকত। প্রতিনিয়ত মঙ্গা। আওয়ামী লীগ ৯৬ সালে ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসে আমরা সিদ্ধান্ত নিই, এই উত্তরবঙ্গে কোনো মঙ্গা হবে না।

‘প্রত্যেক মানুষ যেন খাদ্য পায়, কাজ পায়, তার ব্যবস্থা আমরা করব’- মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ বারবার আসবেই, দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। মানুষের জানমালের ক্ষতি যাতে না হয়, তার ব্যবস্থা করাই আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য। আমরা সেইভাবে সকল কর্মপরিকল্পনা নিচ্ছি।’

এর আগে সকাল ১১টার দিকে দিনাজপুরে পৌঁছেন শেখ হাসিনা। সেখানে জিলা স্কুল আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করবেন তিনি। এরপর বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের তেঘরা হাই স্কুল আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শেষে নামাজ ও মধ্যাহ্ন বিরতির পর শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম জেলার উদ্দেশে রওনা হন।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী,আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার,আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/টিএ/ডব্লিউবি