ফেরি স্বল্পতায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় যানজট

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৩০

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পদ্মায় তীব্র স্রোত আর ফেরি স্বল্পতার কারণে ব্যাহত হচ্ছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরি চলাচল। গেল কয়েকদিন ধরে পণ্যবাহী ট্রাকসহ উভয় ঘাটে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েছে এই রুটে চলাচলকারী দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যাত্রীরা।

আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানীগামী অধিকহারে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক আসা শুরু হলে তখন যানজট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা।

রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর যাতায়াতের অন্যতম নৌরুট হচ্ছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া। কিন্তু তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। সেইসঙ্গে স্রোতের প্রতিকূলে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিকল হচ্ছে ফেরিগুলো।

ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে ১৬টি ফেরির মধ্যে পাটুরিয়া ঘাটে ভাসমান কারখানায় মেরামতে থাকতে হচ্ছে চার থেকে পাঁচটি ফেরি। ১১-১২টি ফেরি দিয়ে কোনোমতে পারাপার করা হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহন।

পদ্মার পানি ওঠানামা করায় দৌলতদিয়া ঘাটের পন্টুন সরাতে হচ্ছে বারবার। এতে ফেরিগুলো পন্টুনে যথাসময়ে ভিড়তে পারছে না। ফলে ঘাট এলাকায় তৈরি হচ্ছে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন।

বিআইডব্লিউটি এর প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, বর্তমানে ছয়টি রো-রো, চারটি ইউটিলিটি ও দুটি কে-টাইপ ফেরি দিয়ে কোনোরকমে পারাপার করা হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহন। আর মেরামতের জন্য পাটুরিয়া ঘাটের ভাসমান কারখানা ‘মধুমতিতে’ রাখা হয়েছে রো-রো ফেরি মতিউর রহমান, হামিদুর রহমান ও শাহ আলী এবং  ইউটিলিটি ফেরি চন্দ্র মল্লিকা।

রবিবার বিকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়ার উভয় ঘাটে সাত শতাধিক মালবাহী ট্রাক এবং দুই শতাধিক বাস ও প্রাইভেট কার পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

রো রো ফেরি ভাষা শহীদ ‘বরকতের’ মাস্টার তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাভাবিক সময়ে নদী পার হতে  সময় লাগে ৪০ মিনিট। কিন্তু এখন স্রোতের কারণে সময় লাগছে দুই ঘণ্টারও বেশি।

এদিকে যাত্রী ও বাস চালকরা জানিয়েছেন, তারা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন প্রতিনিয়ত। তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত আটকে থাকতে হচ্ছে ঘাট এলাকায়।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের এজিএম সফিকুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে জানান, দৌলতদিয়ায়- পাটুরিয়া নৌপথের চলাচলরত ফেরিগুলো অনেক পুরাতন। আগের মতো চলার সক্ষমতা না থাকায় ফেরিগুলো ঘন ঘন বিকল হচ্ছে। যাত্রী দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস পারাপার করায় ঘাটে পণ্যবোঝাই ট্রাকের সংখ্যা বেড়েছেই চলেছে।এ অবস্থায় আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চল থেকে অধিকহারে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক আসা শুরু হলে তখন যানজট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)