কারখানায় ব্রেস্টফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ

প্রকাশ | ২২ আগস্ট ২০১৭, ২০:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

প্রতিটি কারখানায় ব্রেস্টফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি বলেছেন, যে সব কারখানায় ৪০ এর বেশি নারী শ্রমিক রয়েছে সেখানে ব্রেস্টফিডিং কর্নার থাকতে হবে।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন এবং ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে ‘মাদারস@ওর্য়াকঃ কর্মক্ষেত্রে মায়েদের অধিকার এবং শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সুব্যবস্থা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ৯৪ ধারা অনুযায়ী যে সকল কারখানায় ৪০ জনের বেশি নারী শ্রমিক রয়েছে সেখানে ব্রেস্টফিডিং কর্নার না থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বিষয়টি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে গুরত্বের সাথে দেখভালের নির্দেশ দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী কলকারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিক ১৬ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। এটি তাদের আইনগত অধিকার।

তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে মায়েদের ছয় মাস পর্যন্ত সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শ্রমিকদের সচেতনতার বিষয়ে সরকারের সাথে ইউনিসেফ, আইএলওসহ দাতাসংস্থাগুলোকে কাজ করার আহবান জানান। গার্মেন্টস শিল্পে  কর্মরত প্রায় ৩২ লাখ নারীর মধ্যে শতকরা ১৫ জনের বেশির বয়স ১৬ থেকে ৩১ বছরের মধ্যে। প্রজননক্ষম এ সকল নারী কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে আরো জানতে হবে। তিনি বলেন, কারখানায় কর্মরত মায়েদের সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ানোর সুব্যবস্থা করলে মালিক-শ্রমিকদের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার সম্পর্ক তৈরি হবে। এতে কারখানায় উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ ধরনের একটি অতিপ্রয়োজনীয় মহতি জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফসহ অন্যান্য দাতা সংস্থাগুলোকে প্রতিমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান।

কর্মশালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপচিালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বিজিএমই এর পরিচালক সাইফ উদ্দিন, বাংলাদেশ এমপ্লেয়ার্স ফেডারেশনের সহসভাপতি আর্দাশীর কবির, বিকেএমই এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদীকা শামসুন নাহার ভূঁইয়া, আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রী নিবাস বি রেড্ডি এবং ইউনিসেফ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মি. এডউয়ার্ড বেগবেডার বক্তৃতা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এমএম/জেডএ)