রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের শর্ত নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্ন

প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৩৮ | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের দুটি ধারা ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালার একটি বিধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব ও কমিশনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করে।

বাংলাদেশে প্রথমে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চালু হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলে। এরপর সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আবার রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু হয়। নির্ধারিত শর্ত মেনে নিবন্ধন না থাকলে দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার রহিত করা হয়। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৩৮টি। ফলে এই দলগুলো ছাড়া অন্য কারও নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই।

নিবন্ধন জন্য যেসব শর্ত রয়েছে সেগুলোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন ও শুনানি করেন সাবেক মন্ত্রী ও তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের দুটি ধারা ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালাটি হলো- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ বি, ১২ (৩) (এ) এবং বিধিমালা ৬ (ঞ) ধারা।

নাজমুল হুদা বলেন, একবারের সংসদ সদস্য থাকতে হবে, শতকরা পাঁচ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এমন তথ্য, এক তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কমিটি, ১০০ উপজেলায় দপ্তর, এক থানায় দুইশত ভোটার সদস্যের প্রমাণ থাকতে হবে। এসব শর্ত সংবিধানপরিপন্থী। আগে দরকার নিবন্ধন পরে এ শর্তগুলো পূরণ করা হবে। কিন্তু অনেক দল এসব শর্ত পূরণে প্রতরণার আশ্রয় নেবে। এ জন্য শর্তগুলো তুলে দেওয়ার দরকার। যার পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত রিট দায়ের করা হলে আদালত রুল জারি করে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের ৯০-বি/১/বি/৩ ধারায় বলা হয়েছে, শিক্ষক, ছাত্র ও বিভিন্ন পেশার সদস্য এবং আর্থিক, বাণিজ্যিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের সমন্বয়ে রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন থাকতে পারবে না। তবে ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক বা চাকরিজীবীরা নিজস্ব কর্মক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে সংগঠিত হতে পারবে এবং গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক চর্চার জন্য তারা সংগঠন বা ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারবে।

(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/এমএবি/ডব্লিউবি)