বাংলাদেশ বিমানের টিকিট কেটে বিপাকে ৪০০ সৌদি প্রবাসী

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০১৭, ১১:৪৪ | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০১৭, ১৩:১২

আমীর চারু, সৌদি আরব
ফাইল ছবি

সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতে বাংলাদেশ বিমানের টিকিট কিনে বিপাকে পড়েছে চারশ বাংলাদেশি। বিমানে বিলম্ব, তাই ছয় দিন ধরে হোটেলে দিন কাটছে তাদের। কবে দেশে আসা যাবে, সে বিষয়ে কোনো ধারণাই নেই কারও। এ বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কিছু বলছেও না।

যারা ছুটি নিয়ে দেশে আসছেন, এই বিলম্বের কারণে তাদের দেশে অবস্থান সংক্ষিপ্ত করতে হবে। কারণ, ছুটির একটি অংশ তাদের কাটাতে হচ্ছে হোটেলেই।

আবার এতে বাংলাদেশ বিমানেরও আর্থিক লোকসান হচ্ছে। কারণ সৌদি আরবের ব্যয়বহুল হোটেলে অবস্থানে ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে তাদেরই।

বাংলাদেশ বিমানে সময় বিপর্যয় নতুন কোনো ঘটনা না হলেও রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বলে প্রবাসীদের পছন্দের তালিকায় থাকে তা। আবার বাংলায় কথা বলা যায় বলেও এক ধরনের সহানুভূতি থাকে বিমানের প্রতি। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, এই অনুভূতির মূল্য দিচ্ছে না বিমান কর্তৃপক্ষ।

টিকিট কেটে বিপাকে পড়াদের একজন সরোয়ার হোসেন। ঢাকাটাইমসকে তিনি জানান, গত  ২১ আগস্ট তার দেশে ফেরার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়েই রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান তিনি। এরপর মালামাল বুকিংও নেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ফ্লাইট বিলম্বের কথা বলে পরে বাসে করে হোটেলে নিয়ে আসা হয় তাকে। এখন পর্যন্ত এই হোটেলেই আছেন তিনি।

‘বিমান কর্তৃপক্ষ কবে কখন ফ্লাইট তা জানাচ্ছেন না, এমনকি হোটেলে বিমান কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না’-বলেন সরোয়ার।

তার মতোই অনিশ্চয়তায় আছে অন্য যাত্রীরা। চরমভাবে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা কখন ডাক আসে এই অপেক্ষায় হোটেলের বাইরেও যেতে পারছে না।

যাত্রীরা জানান, বিপাকে কেবল তারা নন। তাদেরকে ঢাকায় রিসিভ করার জন্য অনেক দূর থেকে তাদের স্বজনরা ঢাকায় এসেছেন। তারাও আছেন বিড়ম্বনায়। কেউ উঠেছেন আত্মীয়ের বাসায়, কেউ হোটেলে। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘায়িত হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি লজ্জায়ও পড়তে হচ্ছে তাদের।

এ বিষয়ে রিয়াদে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপকের কাছে জানতে চাইলে জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না।

ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি