কাতারে জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ বাড়ছে

প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কাতারে জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বলেছেন, ‘কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কাতারে কয়েক লাখ বাংলাদেশি কাজ করছে। সেখানে আরও জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। কাতারে বাংলাদেশের শাক সবজিসহ বেশ কিছু পণ্য রপ্তানি হয়। বাংলাদেশের গ্যাসের চাহিদা মিটানোর জন্য কাতার থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি এমওইউ স্মারক সই হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এলএনজি টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন হবে, তখন আর দেশে গ্যাসের কোনো সংকট থাকবে না। ’

রবিবার  বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ দেশের কল-কারখানায় প্রয়োজনীয় গ্যাস সংযোগ নেয়া সম্ভব হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কাতারের সাথে জনশক্তি রপ্তানি বাদে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য খুব বেশি নয়। গত বছর বাংলাদেশে কাতারে ২৬.৪০ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে, একই সময় সেখানে ১৫২.২০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করা হয়েছে।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘কাতার বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। কাতার বিশ্বের মধ্যে বৃহৎ এলএনজি রপ্তানিকারক দেশ। কাতার বিভিন্ন দেশে প্রায় ১০০ মিলিয়ন টন এলএনজি রপ্তানি করে থাকে। ২০১৮ সালে এলএনজি আমদানি শুরু হলে বাংলাদেশের কল-কারখায় গ্যাসের সমস্যা থাকবে না।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কাতারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা খুবই কম। সেখানে ঔষধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, আইটি প্রোডাক্ট, হিমায়িত মাছ, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক ও প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি এবং উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে কাতারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব।’

(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/এমএম/জেবি)